চৌগাছায় আগাম রোপণের ধান কাটা শুরু হয়েছে

0

এম. এ. রহিম, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় কৃষকের স্বপ্নের ধান কাটা শুরু হয়েছে। মাঠজুড়ে বাতাসে দুলছে কৃষকের সোনালি ধান । পোকার আক্রমণ আর নানা রোগবালাইয়ের পরও এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক। উপজেলার সর্বত্র কৃষক পরিবারে বইছে এখন পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। মাঠে মাঠে আনন্দে মাতোয়ারা সোনালী ধানের শীষ। প্রতিটি ধানের শীষে যেন কৃষকের রক্তপানি করা ক্লান্তিমাখা জীবনের স্বপ্ন নির্ভর করছে। তার পরেও বাম্পার ফলন আর বাংলা নববর্ষের আনন্দে মাঠে মাঠে ধান কাটার উৎস বইছে। কৃষকদের মনে বইছে আনন্দ আর মুখভরা হাঁসি।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, এ বছর বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৮ হাজার ২০০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৯ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। উপজেলা জুড়ে ধানের বাম্পার ফলনে বাঁধ-ভাঙা আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছে কৃষক। দিগন্তজোড়া সোনালি ফসলের মনোরম দৃশ্য যেন পেতে রাখা গালিচা। আগাম রোপণ করা ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে এক সপ্তাহ পরে শুরু হবে ধান কাটার মহোৎসব।
উপজেলার বাদেখড়িঞ্চা গ্রামের কৃষক মামুন হোসেন জানান, তার তিন বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তার পরেও ধান চাষে যে খরচ হয়েছে তাতে কম পক্ষে ১৫শ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করতে পারলে ভাল হবে। পাশাপোল গ্রামের মমিনুর রহমান, কয়ারপাড়া গ্রামের ইউনুস অলী, মাসুদুর রহমান, আবু কালাম, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের নুরুজ্জামান বলেন, এক বিঘা জমিতে ধান জমি প্রস্তুত থেকে ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে যারা বিদ্যুতচালিত সেচপাম্পের পানি এবং নিজেরাই পরিচর্যা করেছেন তাদের জন্য খরচ একটু কমবে। সেক্ষেত্রে প্রতি মণ ধান ১৫শ টাকার ওপরে বিক্রি করতে পারলে তাদের আসল ঘরে আসবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসাইন বলেন, এ বছর আবহাওয়া ভালো তাই ধানের ফলন ভালো হবে। তাপদাহে ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। ইতোমধ্যে কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষি অধিদফতরের পক্ষ থেকে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা হবে। এতে শ্রমিক সঙ্কট অনেকটা কমে আসবে। তা ছাড়া যেসব ক্ষেতে ধান ন্যুয়ে পড়েছে সেসব ক্ষেতের ধান দ্রুত কাটার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।