এক সপ্তাহেও গ্রেফতার হয়নি যবিপ্রবির ছাত্র নির্যাতনকারী শোয়েব ও সালমান

0

 

যবিপ্রবি সংবাদদাত॥ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে হলে আটকে রেখে নির্যাতন ও দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে অভিযুক্তরা। তবে পুলিশ জানিয়েছে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ওই ঘটনায় ৩ এপ্রিল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রাধ্যক্ষ ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে যবিপ্রবির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শোয়েব আলী ও সালমান এম রহমানকে ১ ও ২ নম্বর আসামি করা হয়।
ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইসমাইল হোসেন এখনও অসুস্থ। তিনি ব্যাথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসমাইলের সহপাঠীরা। শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নির্যাতনকারী শোয়েব ও সালমানের পেছনে ইন্ধনদাতাদেরও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।
আটক না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে যশোর কোতয়ালি থানার তদন্ত কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তারা বারবার স্থান পরিবর্তন করার কারণে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেফতারের জন্যে আসামিদের বাড়িতেও অভিযান পরিচালনা করেছি। আমাদের টিম সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে গ্রেফতার করার জন্যে।
গত ২ এপ্রিল যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৫২৮ নম্বর কক্ষে আনুমানিক দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ইসমাইল হোসেন নামের এক অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে রড, জিআই পাইপ ও বেল্ট দিয়ে নির্যাতন করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ছাত্রলীগ কর্মী শোয়েব ও সালমান। পরে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে হল প্রভোস্ট এসে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পর অভিযুক্তদের হল থেকে এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।