যশোরে এক সপ্তাহে সাতজন ছুরিকাহত : মৃত দুইজন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে ছুরির ব্যবহার কমছে না। গত এক সপ্তাহে ৭ জন ছুরিকাহত হয়েছে। এর ভেতর দু’জন মৃত্যুবরণ করেছে। পুলিশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও ছুরির ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে নাজমুল হোসেন (১৬) নামে এক কিশোর ছুরিকাহত হয়েছে। নাজমুল হোসেন যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের নাজিম হোসেনের পুত্র। সে জানায়, দোগাছিয়া গ্রামের রহমত আলী (১৬) নামে এক বন্ধুকে নিয়ে গত শুক্রবার দুপুরে যশোর শহরে শার্ট কিনতে আসে। এ সময় দড়াটানা থেকে জান্নাত নামে এক যুবতী তাদের ডেকে পরিচয় জানতে চায়। পরিচয় দেয়ার পর ১০/১২ জন যুবক চলে আসে। তখন তারা নাজমুল হোসেন ও রহমত আলীকে রিকশায় করে উপশহর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাড়িতে দুপুর ২টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত আটকে রেখে মারপিট করে। তারা রহমত আলীর কাছ থেকে নগদ ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। নাজমুল হোসেনের কাছে কোন টাকা না পেয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে লোকজন নাজমুল হোসেনকে উদ্ধার পর যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। নাজমুল হোসেন জানিয়েছে, ওই মহিলাই ছিনতাইকারী। তারা তা বুঝে উঠতে পারেনি। একই দিন রাতে শহরতলীর শেখহাটি তমালতলায় আজিজুল ইসলাম (১৬) নামে এক কিশোর ছুরিকাহত হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের একদল যুবক তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে লোকজন উদ্ধার করার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ছুরিকাহত আজিজুল শেখহাটি গ্রামের কামাল হোসেনের পুত্র। একই দিন সকালে কেসমত নওয়াপাড়া গ্রামে ছুরিকাহত হয়েছেন মনিরুজ্জামান সাগর (১৫) নামে এক চা দোকানী। তার বাড়ি যশোর উপশহরে। পাওনা টাকা নিয়ে গোলযোগের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
গত ৫ মার্চ যশোরের মণিরামুর উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী রেহেনা খাতুন (৫০) ছুরিকাহত হয়েছেন। প্রতিবেশীদের সাথে গোলযোগের জের ধরে আহম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি তাকে ছুরিকাঘাত করে। এর আগে ২ মার্চ শহরের খড়কী কবরস্থান এলাকার বাবর আলী গাজীর পুত্র আবুল কালাম (৩০), ৩১ মার্চ রাতে শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার বাচ্চু মিয়ার পুত্র নাহিদ (১৬), সদর উপজেলা ঘুরুলিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র ইউনুছ আলী (২৫) ছুরিকাহত হন। আহতদের যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতলে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউনুছ আলী ও নাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।