বাগআঁচড়ায় মিটার রিডারদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অনিয়মের অভিযোগ

0

আজিজুল ইসলাম, বাগআঁচড়া (যশোর) ॥ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় মিটার রিডিং না দেখেই বিদ্যুৎ বিল করা ও সময়মত বিল না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাগআঁচড়া অঞ্চলের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতায় বাগআঁচড়া সাব জোনাল অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ গ্রাহকরা। প্রতি মাসে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং না নেওয়া ও সময়মত বিদ্যুৎ বিল বাড়িতে পৌঁছে না দেওয়া তাদের নিয়মে পরিণত হয়েছে। গ্রাহকরা বলছেন কয়েক মাস ধরে চলছে এ অবস্থা। অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বাগআঁচড়ার জামতলা এলাকার আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের শেষ তারিখ প্রতি মাসের ২৬ তারিখ। অথচ ২৪ মে শুক্রবার পর্যন্ত এলাকার কেউই মে মাসের বিল হাতে পাননি বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।
একজন বিদ্যুৎ গ্রাহক লেছি ইয়াসমিন বলেন,মিটার রিডাররা প্রতিমাসে না এসে মাঝে মাঝে আসে। সব সময় তারা অনুমান নির্ভর বিল করে থাকে। এতে প্রকৃত বিল আমরা দিতে পারি না। বিশেষ বিশেষ সময় মিটার দেখে রিডিং নিয়ে আমাদের ওপর বাড়তি বিলের বোঝা চাপিয়ে দেয়।
বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা ও মিটার রিডারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর মিটার রিডাররা বাসায় বাসায় গিয়ে মিটারের বর্তমান রিডিং নিয়ে আসেন। সেই রিডিং থেকে আগের মাসের প্রাপ্ত রিডিং বাদ দিলেই এই মাসের ব্যবহৃত বিদ্যুতের হিসাব পাওয়া যায়। সেগুলো বিভিন্ন স্ল্যাব অনুযায়ী হিসাব করে বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিল করা হয়।
বাগআঁচড়া সাব জোনাল অফিসের এজিএম গাজী সোহরাব হোসেন বলেন,বিদ্যুৎ বিল রিডিং যারা করেন তারা বাড়ি বাড়ি গিয়েই তো বিল রিডিং করেন। তারা কেন অফিসে বসে বিল রিডিং করবে। এটা কোনো সমস্যা না দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের নতুন বিল রিডার এসেছে অনেক সময় বাড়ি খুজে পায় না, এজন্য হয়তো দেরি হয়ে গেছে। তবে সব কিছু দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।