নতুন শিক্ষা পাঠ্যক্রমের বই এডিট করে অপ্রচার চালানো হচ্ছে : যবিপ্রবির চতুর্থ সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বক্তব্যকালে নতুন শিক্ষা পাঠ্যক্রম বিরোধীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, নতুন পাঠ্যক্রমের ওপর রীতিমত জঙ্গি হামলা হয়ে গেছে। যা নেই তা উপস্থাপন করা হচ্ছে। এডিট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। নতুন বইগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ করা হচ্ছে। এটা সংশোধন হচ্ছেও হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শনিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) চতুর্থ সমাবর্তনে চ্যান্সেলরের মনোনীত হিসেবে সভাপতির বক্তব্য রাখেন।
সমাবর্তনের বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায়। এ জন্য স্মার্ট নাগরিক গড়তে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে সহায়ক শিক্ষাকার্যক্রম নিয়ে কাজ করছে সরকার। একটি চক্র এই শিক্ষাক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। নতুন শিক্ষা কর্মের আলোকে ছাপানো বইয়ে যা নেই তা উপস্থাপন করা হচ্ছে। এডিট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তারা শিক্ষার্থীদের মগজ ধোলাইয়ের পদ্ধতি বহাল রাখতে এ কাজ করছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা মগজ ধোলাইয়ের শিকার হবে না। তারা ভাবতে শিখবে, পৃথিবীকে জানবে। তাদের সেই চিন্তাা ও মননশীলতার জায়গাটা স্বাভাবিক রাখতে সরকার সবকিছু করবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামীতে জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যায় স্থাপন করা হবে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আছে তারা তাদের সিটের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করবে না। সারা পৃথিবীর মতো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিতে আগামীতে একটি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। ঘন ঘন পরীক্ষা অর্থবহ না।
তিনি আরও বলেন, আগামীর বিশ্বে তাল মেলাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে হবে। পাঠদানের পাশাপাশি পাওয়া জ্ঞানকে কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। আমাদেরকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় যেতে হবে।
অনুষ্ঠানের সমাবর্তন বক্তা স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর হাসিনা খান বলেন, আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হলে গবেষণার কোন বিকল্প নেই। গবেষণায় প্রেমের সকল উপাদান রয়েছে। এক রোমাঞ্চকর অনুভূতির মধ্য দিয়ে গবেষণার সময় অতিবাহিত হয়। গবেষণায় আসলে নতুন নতুন বিষয় জানার সুযোগ রয়েছে। ফলে যাদের সুযোগ আছে তাদের গবেষণায় আসতে হবে।
সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে এক হাজার ৮৩৪ জন গ্রাজুয়েট অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের পিতা-মা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এবারের সমাবর্তনে ২২ জন গ্রাজুয়েট চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ২৬ জন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এবং ৯ জন ডিন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খাঁন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উপাচার্য ড. মিহিররঞ্জন হালদার, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু নঈম শেখসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।