বাঁকড়ী মাধ্য. বিদ্যালয়ের পিকনিকের বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২ আহত চল্লিশের বেশি

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা পিকনিক থেকে ফেরার পথে এক বাস দুর্ঘটনায় দুই জন নিহত ও চল্লিশ জনের অধিক আহত হয়েছেন। পিকনিক শেষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় কাশিয়ানি ভাটিয়াপাড়া মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সে করে প্রায় ২০ জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। যশোরে হাসপাতালে এসে মারা যান বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী সুদিপ্ত বিশ্বাস (৩৫)। এছাড়া ঘটনাস্থলে নিহত হন বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস (৪৫)।
বাকড়ী বহুমুখী বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিশ্বাজিৎ কুমার পাল জানান, তারা গতকাল সকালে তিনটি বাসে করে ১৫০ জন টুঙ্গিপাড়ায় পিকনিকে যান। এর মধ্যে বিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সদস্যরা ছিলেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পিকনিক শেষে ফেরার পথে রাত সাড়ে আটটার দিকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির ভাটিয়াপাড়া মোড় নামক স্থানে তাদের পিকনিকের বাসগুলোর একটি অপর একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। বাসে ৫০ জন ছিলেন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে নিহত হন বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস। আহত হন সকলে। এসময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের কাশিয়ানি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে নেয়। সেখান থেকে অনেককে ফরিদপুরে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাশিয়ানিতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আনা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুদিপ্ত বিশ্বাসের মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থলে নিহত বিদ্যুৎ কুমারের মরদেহ কাশিয়ানি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিল বুধবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত।
এদিকে গভীর রাতে হাসাপাতালে এক সাথে এত রোগীর চাপে চিকিৎসক ও কর্মীদের বেগ পেতে হয়। খবর পেয়ে কর্তব্যরতসহ বাড়ি থাকা চিকিৎসকরাও হাসপাতালে ছুটে আসেন। সেবিকা ইনসটিটিউট থেকে চলে আসেন সেবিকারাও।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুর রহমান রাত ১১টার দিকে জানান, এক সঙ্গে চিকিৎসা দিতে গিয়ে মোট কত জন আহত এসেছেন তার তালিকা করা সম্ভব হয়নি। তিনি যখন এ কথা বলছিলেন তখন চারটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের আনা হয়। তখন প্রায় ১৫ জন আহত এ হাসপাতালে এসেছেন বলে তিনি জানান। এরপর আরও একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের আনা হয়।
রাত ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত জানা যায়নি আহত কত জন যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছে। এবং ঘটনাস্থলের আশেপাশের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে কত জন ভর্তি আছে। হতাহতরা অধিকাংশই বাকড়ী এগারখান গ্রামের বাসিন্দা।