কয়লা সংকটে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ

0

আলী আকবর টুটুল, বাগেরহাট ॥ কয়লা সংকটে বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার না দেয়ায় কয়লা আমদানি করা যায়নি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এর ফলে উৎপাদন শুরুর এক মাস পার হওয়ার আগেই উৎপাদন বন্ধের ঘটনা ঘটল। এই কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া এই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদনে যাওয়া নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কবে নাগাদ উৎপাদন স্বাভাবিক হবে তা বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। কয়লা না পাওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রটি চালু করার সুযোগ নেই বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে এই সময়ে বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় হবে রক্ষণাবেক্ষণ কাজে।
কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি ও প্রশাসন) ওয়ালি উল্লাহ বলেন, কয়লা শেষ হওয়ায় শনিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কয়লা আসলে আবারও উৎপাদন শুরু হবে। তবে কবে নাগাদ কয়লা আসবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়লা আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলার অনুমোদন দিতে দেরি করছে। বিআইএফপিসিএল ঋণপত্র খুলতে না পারার বিষয়টি চিঠি দিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) জানিয়েছে। ১০ ও ১১ জানুয়ারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
বিআইএফপিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, কয়লা না থাকায় শনিবার সকাল থেকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কয়লা আমদানিতে ডলার প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার না দেওয়ায় কয়লা আমদানি করা যাচ্ছিল না। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত এই সংকট নিরসনের। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। ১৭ ডিসেম্বর থেকে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়া শুরু হয়। তখন ২০২৩ সালের জুনে এই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।