যশোরে বাড়ি বাড়ি পুলিশের অভিযান, কয়েকদিনে বিএনপি ও জামায়াতের অর্ধশত নেতা-কর্মী আটক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে কথিত নাশকতার অভিযোগে মামলা দায়েরের পর প্রতিদিন রাতে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াত এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধড়পাকড়ে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশকে সামনে রেখে পুলিশ নিরীহ লোকজন ধরে তাদেরকে কথিত নাশকতার পেন্ডিং মামলায় আসামি করছে বলে অভিযোগ নেতৃবৃন্দের। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ অর্ধশতাধিক লোকজনকে আটক করে নাশকতার পেন্ডিং মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে বলছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি’র কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেন, পুলিশ কথিত নাশকতার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়াও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করেছে। এরমধ্যে বাঘারপাড়ার একটি কথিত নাশকতার মামলায় অজ্ঞাতনামা ২শ’ জনকে আসামি করেছে। কোতয়ালি থানার মামলাতেও অনির্দিষ্ট অজ্ঞাতনামা লোকজনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মণিরামপুর থানায় দায়ের করা কথিত নাশকতার মামলায় অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামি করেছে পুলিশ। বর্তমানে পুলিশ প্রতি রাতে বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে। কাউকে বাড়ি পেলে ধরে এনে কথিত নাশকতার পেন্ডিং মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাচ্ছে পুলিশ। ফলে ভয়ে সাধারণ মানুষ এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এদিকে পুলিশের কয়েকদিনের অভিযানে বিএনপি-জামায়াত এবং অঙ্গ সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আটক হয়েছেন। সর্বশেষ গত সোমবার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১২ জনকে আটক করে পুলিশ। আটকরা হলেন, সদর উপজেলার চাঁচড়া পূর্বপাড়ার শফিউর রহমানের ছেলে আসাদুজ্জামান আশা, ইছালী যোগীপাড়ার মৃত আফসারের ছেলে জসীম উদ্দীন, ঘুরুলিয়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে আক্কাস আলী, বাঘারপাড়া উপজেলার ভদ্রডাঙ্গা গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে বোরহান উদ্দীন, করিমপুরের আব্বাস আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন, বারভাগ গ্রামের তফেল উদ্দিনের ছেলে শফি উদ্দিন, মণিরামপুর উপজেলার চান্দুয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন, সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম, মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের মাহাবুবুর রহমান, মশিয়ার রহমান, দূর্গাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস ও অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের আসলাম সরদার। মঙ্গলবার পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।