যশোরে যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম আওয়ামীলীগের পতন ঠেকাতে বিএনপি নেতা কর্মীদের হত্যার মিশনে নেমেছে

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, অবৈধ সরকার ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে অন্ধ হয়ে গেছে। হত্যা, গুম তাদের কাছে একটি স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার দলীয় সন্ত্রাসী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা একের পর এক ভিন্ন মতের রাজনীতিকদের নৃশংসভাবে হত্যা করতে করতে দেশে আজ লাশের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড স্বাভাবিকভাবে প্রতিহত করার মত কোন অবস্থা নেই। এই কতৃত্ববাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত না করা পর্যন্ত দেশে এমন অবস্থা চলতে থাকবে। ভোলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে যশোর জেলা যুবদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, সরকার বরাবরই জনগণের অধিকার হরণ করছে, আর বিএনপি জনগণের অধিকার রক্ষায় রাজপথে সোচ্চার রয়েছে। কারণ বিএনপি জনগণের দল। তাদের রাজনীতি হচ্ছে জনগণের জন্য। আর জনগণের দাবি আদায় করতে গিয়ে, সরকার কখনো দলীয় সন্ত্রাসী আবার কখনো পুলিশ দিয়ে নিরীহ নিরাপদ বিএনপি নেতা কর্মীদের নৃশংসভাবে হত্যা করছে। তিনি বলেন, সরকারের পতনের চূড়ান্ত ঘন্টা বেজে গেছে। পতন ঠেকাতে তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যার মিশনে নেমেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা যুবদলের সহসভাপতি আমিনুর রহমান মধুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড.সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন,জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাইদুর রহমান বিপুল,জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আশরাফুল কবির সুমন,নগর যুবদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়ির সহসভাপতি নির্মল কুমার বিট, জেলা যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, যুবদল নেতা তানভীর রায়হান তুহিন, আবুল কালাম আজাদ,বুলবুল চৌধুরী প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন,জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন বাবু।