বেনাপোল- পেট্রাপোলে দুর্ভোগে পাসপোর্টযাত্রী

0

সাইফুর রহমান সাইফ ॥ সারাপথ দৌড়াদৌড়ি খেয়াঘাটে গড়াগড়ির মতো অবস্থা। ভারত যাওয়ার তাড়ায় সাতসকালে প্রস্তুত হয়ে বেনাপোলে এসে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে সেখানে। এরপর নোম্যান্সল্যান্ডে গিয়ে আরো কাহিল অবস্থা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু দৈনিক লোকসমাজকে বলেন, পাসপোর্ট যাত্রীর সংখ্যা হঠাৎ একটু বেড়ে গেছে। প্রতিদিন প্রায় চার হাজার যাত্রী যাওয়া- আসা করছেন। কোন কোন সিজনে যাত্রী বেড়ে যায়। এখন তাই হয়েছে। তবে বেনাপোলে তেমন অসুবিধা নেই।
ভারতগামী ও ফেরত যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কারণে মানুষ ভারত যাচ্ছেন। বিপরীতে ওদিক থেকেও যাত্রী আসছেন। নানা কারণে দু প্রতিবেশী দেশের ভেতর পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত বেড়েছে। আর এ কারণে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সারতে অনেক সময় চলে যাচ্ছে। আর তা করতে লাইনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কারো কারো প্রায় সম্পূর্ণ দিন কেটে যাচ্ছে। ভারতের পেট্রাপোলে এ অবস্থা আরো ভয়াবহ। সেখানে নারী-শিশু শিশু নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে মাজা লেগে যাচ্ছে। এছাড়া রয়েছে পানি ও শৌচকার্যের কষ্ট।
সম্প্রতি ভারত থেকে ঘুরে আসা পাসপোর্টযাত্রী ইশরাত আরা দৈনিক লোকসমাজকে বলেন, দুপুর দুইটায় লাইনে দাঁড়িয়ে আমি রাত আটটায় ভারতে ঢুকেছি। গন্তব্যে পৌঁছাতে আমার অনেক রাত হয়ে গেছে। অন্য যাত্রীরাও এভাবে কষ্ট পেয়েছেন। কারণ নোম্যান্সলান্ডে খাবার পানির কোন ব্যবস্থা নেই। নেই বসার ব্যবস্থাও।
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. কবীর তরফদার দৈনিক লোকসমাজকে বলেন, যাত্রীর চাপ বেড়েছে। তবে বেনাপোলে কাউন্টার বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হচ্ছে। এখানে এখন আর কোন সমস্যা নেই। এছাড়া আউটগোয়িং যাত্রী এখন কমে গেছে।আছে ইনকামিং যাত্রী।
তিনি জানান, এখন ভারতে সমস্যা হচ্ছে। তবে তাও কেটে যাবে।
তবে যাত্রীরা বলেছেন, ভারতের পেট্রাপোলে সমস্যার পাশাপাশি বেনাপোলেও সমস্যা আছে। আছে ভোগান্তিও।