যশোরে স্বেচ্ছাসেবক দলের সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম, আগুনে পোড়া পরিবারের আহাজারীর মধ্যে আওয়ামীলীগ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জমকালো আয়োজনে ব্যস্ত

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, যখন সীতাকুন্ডের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে গোটা দেশে শোকের মাতম চলছে, নিহত এবং আহতদের স্বজনদের বুক ফাঁটা আহাজারি আর্তনাদে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে, তখনই ক্ষমতাসীনরা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জমকালো আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত। সরকার এমনকি তার দলের নেতাদের অগ্নিকান্ডের শিকার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় নি। আজ কেউ আগুনে পুড়ে, কেউ না খেয়ে মারা যাচ্ছে। আর ক্ষমতাসীনরা অবৈধ মসনদে বসে জনগণের টাকায় কিভাবে আমদ ফূর্তি করা মহাপরিকল্পনায় ব্যস্ত রয়েছে। দেশের জনগণ বাঁচলো কি, মরলো তাতে আওয়ামী সরকারের কোন দায় নেই।
মঙ্গলবার জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিয়ে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, আওয়ামীলীগ মিথ্যাবাদী দল । যাদের মধ্যে ন্যূনতম সততা ন্যায় নিষ্ঠা, দায়িত্ব বোধ বলতে কিছু নেই। তারা বারবার জাতিকে ধোঁকা দিচ্ছে। তাদের নেত্রী বলেন, মায়ের মততা দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। অথচ এই আওয়ামীলীগ জাতিকে সর্বোচ্চ কষ্টের মধ্যে রেখেছে। যেখানে তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে তিলে তিলে হত্যা করছে, সেখানে দেশের সাধারণ জনগণের অবস্থা কি হতে পারে সেটি কারও বুঝতে বাকি থাকে না। এখনো সময় আছে, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা গ্রহনের সকল ব্যবস্ত করে দিন,নয়তো ভয়াবহ অবস্থার সম্মূখীন হতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে জনগণ আওয়ামীলীগকে ছাড়বে না। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা নিজেদের শিক্ষা বান্ধব সরকার হিসেবে দাবি করে। অথচ, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের কারণে এস এস সি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ তারা পরিকল্পিত ভাবে জাতির মেরুদন্ডকে ভেঙে দিচ্ছে। সমগ্র জনগণ আজ একটি শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যদিয়ে জীবন যাপন করছে। এ অবস্থা থেকে দেশ ও জাতিকে উত্তরন করতে প্রয়োজন গণঅভ্যুত্থান। যার মধ্যে দিয়ে এই কতৃত্ববাদী সরকারের পতন নিশ্চিত হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি নির্মল কুমার বিটের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম আজাদ, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুম, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মিলন, নগর যুবদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ ইমরান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব রাজু আহমেদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাইফুল বাশার সুজন, যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদল নেতা পিকুল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোল্লা হাবিবুর রহমান, শামসুল আলম, রাকিবুল ইসলাম রিপন, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার রানা ও যুগ্ম- সম্পাদক রেজোয়ানুল ইসলাম খান রিয়েল।