সরকারকেই আমদানি করতে হবে

0

বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ তথা স্থিতিশীল রাখতে অবশেষে সরকার চাল আমদানির পথেই হাঁটছে। সোমবার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বেসরকারী পর্যায়ে চাল আমদানির। আলোচনা হয়েছে শুল্ক মুক্তভাবে চাল আমদানির বিষয়েও। তবে শুল্ক কি পরিমাণ কমানো হবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী করণীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরেও অনুষ্ঠিত হয় এক মতবিনিময় সভা। সভায় উপস্থিত পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা চালের বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য দোষারোপ করেন একে অপরকে। আলোচনা হয় কতিপয় কর্পোরেট কোম্পানির অবৈধ বিপুল চালের মজুদসহ বাজারে প্রভাব বিস্তার নিয়েও। ফলে, আগামীতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে ২০১১ সালের মজুদ সংক্রান্ত আইন। এক মেট্রিক টনের বেশি চালের মজুদ করতে চাইলে লাইসেন্স নিতে হবে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে। আড়তদাররা ৩০দিন পর্যন্ত চাল মজুদ রাখতে পারবেন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আইন মানতে দেখা যাচ্ছে না কাউকে। আড়তদার, মিলার ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বেআইনীভাবে বিপুল পরিমাণ চালের মজুদ গড়ে তুলেছে ইতোমধ্যে। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে চালের গুদামে অভিযানে সেসব বেরিয়েও আসছে প্রতিদিন। এর ফলেও বাজারে বেড়েছে অস্থিরতা। অতঃপর সরকারকে নির্ভর করতে হচ্ছে চাল আমদানির ওপর। তবে শঙ্কা রয়েছে সেখানেও। কেননা, ডলারের দাম বাড়ছে। কমছে টাকার মান। আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যশস্যের দামও বাড়ছে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা চাল আমদানিতে আদৌ উৎসাহিত হবেন কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত সরকার তথা খাদ্য মন্ত্রণালয়কে চাল আমদানির উদ্যোগ নিতে হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে আগেভাগেই।