ফের খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর যশোরের লেবুতলায় হবে গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল

0

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ গণস্বাস্থ্য কেদ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ফের বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করলেন। একই সাথে তিনি দুবছর মেয়াদে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বানও জানান।
দেশের সম্মানিত এ নাগরিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রোববার বিকেলে যশোর সদরের লেবুতলায় গণস্বাস্থ্য লেবুতলা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় জমি রেজিস্ট্রেশনের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ দাবি জানান। এর আগে একাধিকবার তিনি এ দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। পৃথিবীর খুব কম দেশে ইভিএম আছে। এটা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা দরকার। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন, নারী পক্ষের সদস্য শিরিন হক, গণস্বাস্থ্য কেদ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদের, প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, জমিদাতা কল্পনা রানী খাঁ ও অরুণা রানী খাঁ, সমন্বয়কারী রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয়কৃষ্ণ মল্লিক, রফিকুল ইসলাম, মো. ইসহাক, মিজানুর রহমান, অজিত খাঁ প্রমুখ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্রতার অন্যতম কারণ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না, আসল কারণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। তাই স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যবসা নয়, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা নয়।
তিনি ফ্রান্সের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানেও দরিদ্র মানুষ আছে। তারা টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষকে। আজ সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো অরুণার জমি দানের ভেতর দিয়ে।
গণস্বাস্থ্য লেবুতলা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কাজ জুলাই থেকেই শুরু হবে উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসএসসি, এইচএসসি পাস ২০টি মেয়েকে এক মাসের ভেতর চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা দেবে। তিনি বলেন, আল্লাহ হিন্দু-মুসলমান সবাইকে সৃষ্টি করেছেন। তাই আমি সবাইকে সমানভাবে দেখি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার সব জায়গায় বৈষম্য করছে। আমাদের হাসপাতালের জন্যে সরঞ্জাম কিনতে যেখানে ৩২ থেকে ৫৮ ভাগ কর দিতে হয় সেখানে এ্যাপোলো হাসপাতালে লাগে মাত্র ১ ভাগ।
তিনি বলেন, এ বছর অনেকেই পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে পারবে না। কারণ জিনিসপত্রের দামের উর্ধ্বগতি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তরফে তাই ২০ হাজার মানুষকে সহায়তা দেয়া হবে। সবাইকে দানের অভ্যাস করতে হবে। হৃদয়টাকে বড় করতে হবে। প্রত্যেক হাজী যদি ১০ হাজার টাকা করে দেন তবে অনেক মানুষের উপকার হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।
আসন্ন জাতীয় বাজেট সম্পর্কে তিনি বলেন, বাজেট বড় হতে পারে। কিন্তু অপচয় বন্ধ করেতে হবে। এটা দুর্নীতি।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তিনি ২ কোটি মানুষকে রেশনের আওতায় আনার দাবি জানান।
গণস্বাস্থ্য হাসপতালের জন্যে কল্পনা রানী খাঁ ও অরুণা রানী খাঁ ৫৫ শতক জমি দান করেছেন। আর যশোরের বাঘারপাড়ার কয়েলকালি গ্রামে ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূর ও তার ভাই- বোনেরা ১০ বিঘা জমি দানের প্রতিশ্রতি দিয়েছেন। সে স্থানটিও পরিদর্শন করেন গণস্বাস্থ্য কেদ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।