দুর্ভোগ লাঘবে উদ্যোগ

0

ঈদে ঘরে ফেরার দুর্ভোগ প্রতি বছরের নিয়মিত চিত্র। রাজধানী থেকে গ্রামমুখী মানুষের ঢল সামলাতে পরিবহন খাত এবং সরকারকে ঘাম ঝরাতে হয়। ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ হয় দুইভাবে। প্র দুর্ভোগ লাঘবে উদ্যোগ
ঈদে ঘরে ফেরার দুর্ভোগ প্রতি বছরের নিয়মিত চিত্র। রাজধানী থেকে গ্রামমুখী মানুষের ঢল সামলাতে পরিবহন খাত এবং সরকারকে ঘাম ঝরাতে হয়। ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ হয় দুইভাবে। প্রথমত- বাস, ট্রেন ও লঞ্চের টিকেট না পাওয়া এবং দ্বিতীয়ত-দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকা। টিকেট নিয়ে দুর্ভোগের কারণ একসঙ্গে অনেক মানুষের ঘরে ফেরা। এক হিসাব অনুযায়ী ঈদে প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঢাকা ছেড়ে যায়। একযোগে এত যাত্রীর জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা কঠিন। প্রতি বছর ঈদে অতিরিক্ত কিছু ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। বাস মালিকরা একমুখী যাত্রী পরিবহন করেন। এ জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও পাওয়া যায়। লঞ্চগুলো বিরামহীন চলাচলে যাত্রী পরিবহনের চেষ্টা করে। ট্রেন, বাস ও লঞ্চের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের এসব প্রচেষ্টাও যথেষ্ট নয়।
ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ হয় যানজটে। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তায় পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। কোন এলাকায় রাস্তায় একটু শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলেই তৈরি হয় যানজট। পরিবহন আধিক্যে দীর্ঘ হয়ে যায় যানজটের আকার। প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন সড়কে দেখা যায় একই চিত্র। গত কয়েক বছর ধরে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে সংস্কার কাজ চলায় উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের দুর্ভোগ ছিল নিয়মিত। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন হয়ে যাওয়ার পর দুর্ভোগ অনেকটা কমেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের দুর্ভোগ হয় ফেরি পারাপারে। পদ্মা সেতু চালু হলে ফেরি ঘাটের এই দুর্ভোগের চিত্র হয়তো পাল্টে যাবে আগামীতে।
হঠাৎ করে অতিরিক্ত যানবাহন যোগাড় করে যাত্রীদের টিকেট পাওয়ার দুর্ভোগ কমানো সম্ভব নয়। সড়ক সংস্কারের প্রকল্পগুলো সমাপ্ত হলে এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে রাস্তায় যানজট সমস্যার সমাধান হয়তো সম্ভব। যানজট নিয়ন্ত্রণে সরকার গত কয়েক বছর ধরে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলেছে। ঈদের আগে ও পরে কয়েকদিন রাস্তায় ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এবার উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ শেষ না হলেও খুলে দেয়া হয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নবনির্মিত শফিপুর ও নাওজোর ফ্লাইওভার। খুলে দেয়া হয়েছে গোড়াই ফ্লাইওভারটিও। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়কের যানজট সৃষ্টির মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত নলকা সেতুর একটি লেনও খুলে দেয়া হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে গাজীপুর চৌরাস্তার নিয়মিত যানজট ঠেকাতে দ্রুত চলাচল উপযোগী করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে এবার উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগের পাশাপাশি চালকরা সচেতন হলে এবার যাত্রীদের দুর্ভোগ কমতে পারে। থমত- বাস, ট্রেন ও লঞ্চের টিকেট না পাওয়া এবং দ্বিতীয়ত-দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকা। টিকেট নিয়ে দুর্ভোগের কারণ একসঙ্গে অনেক মানুষের ঘরে ফেরা। এক হিসাব অনুযায়ী ঈদে প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঢাকা ছেড়ে যায়। একযোগে এত যাত্রীর জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা কঠিন। প্রতি বছর ঈদে অতিরিক্ত কিছু ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। বাস মালিকরা একমুখী যাত্রী পরিবহন করেন। এ জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও পাওয়া যায়। লঞ্চগুলো বিরামহীন চলাচলে যাত্রী পরিবহনের চেষ্টা করে। ট্রেন, বাস ও লঞ্চের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের এসব প্রচেষ্টাও যথেষ্ট নয়।
ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ হয় যানজটে। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তায় পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। কোন এলাকায় রাস্তায় একটু শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলেই তৈরি হয় যানজট। পরিবহন আধিক্যে দীর্ঘ হয়ে যায় যানজটের আকার। প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন সড়কে দেখা যায় একই চিত্র। গত কয়েক বছর ধরে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে সংস্কার কাজ চলায় উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের দুর্ভোগ ছিল নিয়মিত। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন হয়ে যাওয়ার পর দুর্ভোগ অনেকটা কমেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের দুর্ভোগ হয় ফেরি পারাপারে। পদ্মা সেতু চালু হলে ফেরি ঘাটের এই দুর্ভোগের চিত্র হয়তো পাল্টে যাবে আগামীতে।
হঠাৎ করে অতিরিক্ত যানবাহন যোগাড় করে যাত্রীদের টিকেট পাওয়ার দুর্ভোগ কমানো সম্ভব নয়। সড়ক সংস্কারের প্রকল্পগুলো সমাপ্ত হলে এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে রাস্তায় যানজট সমস্যার সমাধান হয়তো সম্ভব। যানজট নিয়ন্ত্রণে সরকার গত কয়েক বছর ধরে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলেছে। ঈদের আগে ও পরে কয়েকদিন রাস্তায় ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এবার উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ শেষ না হলেও খুলে দেয়া হয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নবনির্মিত শফিপুর ও নাওজোর ফ্লাইওভার। খুলে দেয়া হয়েছে গোড়াই ফ্লাইওভারটিও। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়কের যানজট সৃষ্টির মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত নলকা সেতুর একটি লেনও খুলে দেয়া হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে গাজীপুর চৌরাস্তার নিয়মিত যানজট ঠেকাতে দ্রুত চলাচল উপযোগী করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে এবার উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগের পাশাপাশি চালকরা সচেতন হলে এবার যাত্রীদের দুর্ভোগ কমতে পারে।