দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ১৩ হাজার মেগাওয়াট

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ ও অফগ্রিড নয়ানযোগ্য জ্বালানিসহ)। বর্তমানে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে সাড়ে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
রোববার (৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারির প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানানো হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, এলএনজি আমদানিতে ২০২১-২২ অর্থবছরে পেট্রোবাংলাকে ৪ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এলএনজি আমদানিতে চাহিদার পরিমাণ ২৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, গত বছর ১২ এপ্রিল ১২ কেজি বোতলজাতকৃত এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯৭৫ টাকা। সর্বশেষ ৩ মার্চ তার দাম বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩৯১ টাকা।
জাতীয় পার্টির মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, সমুদ্র অঞ্চলে অবস্থিত ব্লকগুলো নিজেরা খনন করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। অগভীর এবং গভীর সমুদ্রাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও উৎপাদন কার্যক্রম উচ্চ প্রযুক্তিনির্ভর, অত্যধিক ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই, উৎপাদন-বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পেট্রোবাংলার আওতাধীন দেশীয় অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সের স্থলভাগে সক্ষমতা থাকলেও সমুদ্রাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও উৎপাদন বিশেষভাবে প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়বহুল হওয়ায় সে সক্ষমতা নেই।
বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, সুষ্ঠু ও মানসন্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দেশের বড় বড় শহর তথা মেট্রোপলিটন এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ২ হাজার ৭০২ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।