দুবাই বসে টিপু হত্যা মিশন বাস্তবায়ন পরিকল্পনাকারী ওমর ফারুক

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ যুবলীগ নেতা মিল্কী হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই দ্বন্দ্বের শুরু। কারণ মিল্কীর সহযোগী ও অনুসারীরা মনে করতো মিল্কী হত্যাকাণ্ডের পেছনে টিপুর হাত আছে। এ জন্য মিল্কী হত্যা মামলার এজাহারে টিপুর নাম দিয়েছিল তারা। হত্যায় টিপুর সংশ্লিষ্টতা আছে- এমন প্রচারণাও বিভিন্নভাবে চালিয়েছিল মিল্কীর সহযোগীরা। কিন্তু টিপুর সংশ্লিষ্টতা না থাকায় আদালত মামলা থেকে তার নাম বাদ দেন। এতে করে মিল্কীর সহযোগীদের মনে টিপুকে নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর রেশ ধরে টিপুর সহযোগী বোচা বাবুকে হত্যা করে তারা। বাবুকে হত্যা মামলার যাবতীয় খরচ জোগাচ্ছিলেন টিপু।
মামলায় তাদের শাস্তিও অনেকটা নিশ্চিত ছিল। এ নিয়েও টিপুর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল তারা। এ ছাড়া মতিঝিল এলাকার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, স্কুল-কলেজের ভর্তি বাণিজ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে টিপুর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চলছিল মিল্কীর সহযোগীদের। এলাকার আধিপত্য বিস্তারসহ মামলা সংক্রান্ত বিষয়েও টিপুর সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল। আর এসব দ্বন্দ্ব ও মিল্কী হত্যার প্রতিশোধ নিতেই টিপুকে হত্যা করা হয়। দেশে বসে হত্যার পরিকল্পনা করলেও মূল কলকাঠি ও কিলিং মিশনের নিয়ন্ত্রণ করা হয় দুবাই থেকে। দুবাই বসে হত্যার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেন সুমন শিকদার ওরফে মুসা। টিপু হত্যাকাণ্ডের ঠিক ১২ দিন আগে দুবাই চলে যান মুসা। টিপু হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল দুপুরে কাওরান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।
এর আগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৩ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে রাজধানীর মুগদা, শাহজাহানপুর ও মিরপুর এলাকা থেকে টিপু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ওমর ফারুক (৫২) ও পরিকল্পনায় সম্পৃক্ত, আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ (৩৮), মো. নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির (৩৮) এবং মো. মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশকে (৫১) গ্রেপ্তার করেছে। অভিযানে কিলিং মিশন নজরদারির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও মোবাইলসহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র?্যাবের মুখপাত্র জানান, ২০১৩ সালে রাজধানীর গুলশান শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে যুবলীগ নেতা মিল্কীকে হত্যা করা হয়। যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা মিল্কীর সহযোগী ছিলেন। মিল্কী হত্যার সঙ্গে টিপু জড়িত ছিলেন বলে গ্রেপ্তার চারজন সন্দেহ করতেন। মিল্কী হত্যা মামলার এজাহারে টিপুর নামও দেন তারা। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন করে ফারুক ও তার সহযোগীরা মিল্কী হত্যায় টিপু জড়িত বলে প্রচার করেন। কিন্তু বিচারিক কার্যক্রমে আদালত টিপুর নাম বাদ দেন। এতে করে তাদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এছাড়া টিপুর সঙ্গে হত্যার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে আরও নানা বিষয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। মূলত এসব দ্বন্দ্ব ও মিল্কী হত্যার প্রতিশোধ নিতে টিপুকে হত্যা করা হয়। আল মঈন জানান, টিপুকে হত্যার জন্য ১৫ লাখ টাকার চুক্তি হয়। কিলিং মিশনের পুরো দায়িত্ব ছিল মুসার ওপর। এই ১৫ লাখ টাকার মধ্যে কে কত দেবে তাও ভাগ করে দেন মুসা। নয় লাখ টাকা দেন ওমর ফারুক। অবশিষ্ট ছয় লাখ টাকা দেন গ্রেপ্তার কিলার নাছির, শুটার সালেহ ও পলাতক মুসা। দুবাই যাওয়ার আগে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে যান মুসা, হুন্ডির মাধ্যমে আরও চার লাখ টাকা মুসাকে দেয়া হয়। বাকি ছয় লাখ টাকা দেশে হস্তান্তর করার চুক্তি হয়। ছয় লাখের মধ্যে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা জব্দ করে র‌্যাব। মুসা ২০১৬ সালে বোচা বাবু হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটভুক্ত ৩ নম্বর আসামি।
কমান্ডার মঈন বলেন, হত্যাকাণ্ডটি দেশে ঘটলেও নিয়ন্ত্রণ করা হয় দুবাই থেকে। দেশে থাকা কিলার নাছির, কাইল্লা পলাশসহ আরও কয়েকজন টিপুর অবস্থান সম্পর্কে বেশ কয়েকদিন ধরে মুসার কাছে পাঠাচ্ছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর গ্রেপ্তার কিলার নাছির আনুমানিক চারবার টিপুর অবস্থান সম্পর্কে মুসাকে অবহিত করেন। পরে টিপু গ্রান্ড সুলতান রেস্টুরেন্ট থেকে বের হওয়ার সময় গ্রেপ্তার কাইল্লা পলাশ তাকে নজরদারিতে রাখেন এবং তার অবস্থান সম্পর্কে ফ্রিডম মানিককে অবহিত করেন। ওইদিন আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের তত্ত্বাবধানে কিলার কর্তৃক হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, ২০১৬ সালে মিল্কী হত্যার দ্বন্দ্বের জেরে টিপুর সহযোগী বোচা বাবুকে হত্যা করে গ্রেপ্তার চারজন। এই মামলাটির সমস্ত খরচ জোগাচ্ছিলেন টিপু। বর্তমানে বোচা বাবু হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। গ্রেপ্তারকৃতদের ধারণা ছিল টিপুর কারণেই বোচা বাবু হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়েছে। এরই মধ্যে মামলার বাদী বোচা বাবুর বাবা আবুল কালামের সঙ্গে গ্রেপ্তার ওমর ফারুক ও তার সহযোগীরা ৫০ লাখ টাকায় দফারফা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু টিপুর কারণে মীমাংসায় যাননি কালাম। এক পর্যায়ে কালামকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ওমর ফারুকরা। কিন্তু কালাম টিপুর সহযোগী হিসেবে চলা ফেরার কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরে তারা টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করে। যাতে মামলা পরিচালনার গতি ধীর করা যায়। তাদের ধারণা ছিল, কালাম একা মামলাটি সঠিকভাবে চালাতে পারবেন না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় তিন মাস আগে, বোচা বাবু হত্যা মামলার সাক্ষ্য শেষে আদালত চত্বর এলাকায় টিপু হত্যার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেন ওমর ফারুকরা। এরপর আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন মুসার সঙ্গে পরিকল্পনা করে টিপুকে হত্যার জন্য ভাড়া করা হয় কিলার। র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, বোচা বাবু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী কাইল্লা পলাশকে তারা অর্থের বিনিময়ে সাক্ষ্য দিতে বিরত থাকতে বলেন। এতে কাইল্লা পলাশ রাজি থাকলেও টিপুর চাপে তিনি সাক্ষ্য দেন। পরে কাইল্লা পলাশ বোচা বাবু হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার আসামিদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে টিপুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে অংশ নেন। টিপু হত্যা বাস্তবায়নের জন্য ফারুক ও মুসাকে ফোনে কয়েকজন আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন কাইল্লা পলাশ। হত্যাকাণ্ডটি বাস্তবায়নে চূড়ান্ত সমন্বয়ের জন্য গত ১২ই মার্চ দুবাই যান হত্যার নির্দেশদাতা মুসা। র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় কিলার নাছিরকে ঘটনাস্থলের পাশে সাদা শার্ট, জিনস প্যান্ট ও কেডস পরা অবস্থায় দেখা যায়। টিপুকে হত্যার পর নাছির তার মোবাইল ফ্লাশ করে বিক্রি করে দেন ও সিমকার্ড ভেঙে ফেলেন। পরবর্তীতে মোবাইল ও সিমকার্ডটি উদ্ধার করে র‌্যাব। এছাড়া ঘটনার আগের দিন নাছির সীমান্তবর্তী চৌদ্দগ্রাম এলাকায় একদিন অবস্থান করে ছিলেন। কাইল্লা পলাশ ঘটনার দিন টিপুকে নজরদারি ও আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে। শুটার সালেহ ঘটনার পরিকল্পনা ও অর্থ দেয়ার সঙ্গে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ডিবির হাতে গ্রেপ্তার শুটার মাসুম ও দামালের এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হত্যাকাণ্ডটি কাটআউট পদ্ধতিতে করা হয়। যেখানে গ্রেপ্তার নাছির ও ফারুকের কাছে পরিকল্পনার তথ্য রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা মুসাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। মুসা সমন্বয়কারী হিসেবে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সমন্বয় করেছেন ও কিলার নিয়োগ করেন। যেহেতু আমরা মুসাকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি এবং তিনি দুবাই চলে গেছেন, তাই কাকে তিনি আন্ডার ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে শুটার নিয়োগ করেছিলেন সেটা মুসাকে গ্রেপ্তারের পর জানা যাবে। গ্রেপ্তার নাছির, ওমর ফারুক ও সালেহের কাছ থেকে আমরা কোনো শুটার বা কিলারের নাম পাইনি। দুবাইয়ে অবস্থানরত আন্ডার ওয়ার্ল্ডের এই সন্ত্রাসী কে জানতে চাইলে র?্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, এখানে আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সন্ত্রাসীর নাম পেয়েছি। আমরা মুসার অবস্থান পেয়েছি দুবাইতে। সেখানে তিনি আন্ডার ওয়ার্ল্ডের এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। একইভাবে কাইল্লা পলাশ একজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে এই হত্যাকাণ্ডের তথ্য দিচ্ছিলেন, যার অবস্থান পার্শ্ববর্তী একটি দেশে। আবার মুসা এর আগে কিলিং মিশনে একজন কিলার নিয়েছিলেন, সেখানে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের একজন সন্ত্রাসীর নাম আমরা পেয়েছি, তার অবস্থান আমরা পাচ্ছি ফ্রান্সে। এখন তথ্য-প্রযুক্তির যুগে এক দেশে অবস্থান করে ভিপিএনের মাধ্যমে আরেক দেশের নম্বর দিয়ে কল করা যায়। এখন এই ঘটনায় আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে, নাকি তারা সরাসরি জড়িত সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শুধু আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসী নয়, আন্ডার গ্রাউন্ডের কিছু সন্ত্রাসীর নামও আমরা পেয়েছি। যাদের অনেককেই আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তাদেরও এই হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। কোনো কিছুই আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সে বিষয়েও তদন্ত চলমান।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার মঈন বলেন, গ্রেপ্তার নাছির জানিয়েছেন মুসার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়েছিল। কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হবে, সেটি মুসা নাছিরকেই জানিয়েছিলেন। নাছির আরও জানিয়েছেন, পরিকল্পনায় কিলারের পাশাপাশি ব্যাকআপ প্ল্যানও ছিল। এ কথা মুসাই তাদের জানিয়েছেন। যখন হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়, তখন নাছির ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ছিলেন। তিনি মুসাকে জানিয়েছেন ?‘ইট ইজ ডান’। এতে মুসার আর ব্যাকআপ প্ল্যানের প্রয়োজন হয়নি। মুসাকে দুবাই থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মুসার অবস্থান শনাক্ত করার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে শেয়ার করা হচ্ছে। দুবাইতে তিনি কোথায় কী অবস্থায় আছেন সে সম্পর্কে কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি। সেসব তথ্য পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে যেসব সংস্থাকে দেয়া প্রয়োজন ও যে মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব সেসব কার্যক্রম নেয়া হচ্ছে। কারণ তাকে না পাওয়া গেলে টিপু হত্যার পুরো পরিকল্পনা সম্পর্কে জানা কঠিন। এদিকে, আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপু হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’ ওমর ফারুককে মতিঝিল থানার অধীন ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত ২৪শে মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শোরুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামের এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে র‌্যাব ও ডিবি ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।