মিরাজের পর উইকেট শিকারে সাকিব

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সিরিজে ফেরার লড়াইয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে উড়ন্ত সূচনা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৫ রানের জবাবে ওপেনিং জুটিতে তুলেছে ৮৬ রান। দারুণ এই জুটি ভেঙেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বিদায় দিয়েছেন ওপেনার জানেমান মালানকে। পরে কুইন্টন ডি কককে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু প্রোটিয়াদের চেপে ধরে রাখার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেনি। ২৭.৪ ওভার শেষে ২ উইকেটে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ১৬৫ রান। ক্রিজে আছেন কাইল ভেরিয়েনে (৪৪) ও তেম্বা বাভুমা (২৯)। দুই ওপেনার দেখেশুনে খেলা শুরুর পর ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তারা। কুইন্টন ডি ককই ঝড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন। তবে দ্বিতীয় ওভারে তাসকিনের বলে লেগ বিফোরের আবেদন উঠেছিল। অনফিল্ড আম্পায়ার তাতে সাড়া না দিলে রিভিউ নেন তামিম। কিন্তু রিভিউর পর সুখবর মেলেনি। নষ্ট হয়েছে সেই রিভিউ। ১১তম ওভারেও
পরে মারমুখী ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন কুইন্টন ডি কক। ঝড় তুলে ২৬ বলে তুলে নেন ফিফটি। দুর্দান্ত গতিতে ছুটে চলা এই ওপেনিং জুটি ভাঙে মিরাজের ঘূর্ণিতে। ১৩তম ওভারে তার বলে সুইপ করতে গিয়েছিলেন জানেমান মালান। কিন্তু ঠিকমতো সংযোগ ঘটাতে পারেননি। ২৬ রানে বোল্ড হয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটার। মিরাজের ১১তম ওভারের শেষ বলে ডি ককেরও ক্যাচ উঠেছিল। মুশফিকুর রহিম গ্লাভসে জমাতে পারেননি তার ক্যাচ। একই ওভারে নষ্ট হয়েছে দ্বিতীয় রিভিউ। পরে অবশ্য ১৬তম ওভারে আর শেষ রক্ষা হয়নি প্রোটিয়া ওপেনারের। সাকিব আল হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। অবশ্য বাউন্ডারি লাইনে আফিফের অসাধারণ ফিল্ডিংয়েই ক্যাচ আউট হয়েছেন ডি কক। ফেরার আগে ৪১ বলে করেছেন ৬২ রান। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ২টি ছয়। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়া পেস ঝড়ে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। বিশেষ করে টপ অর্ডার। পরে মিডল অর্ডারে আলো ছড়িয়ে আফিফ হোসেন লড়ে গেছেন। ওয়ান্ডারার্সে তার হাফসেঞ্চুরিতে ভর করেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ৯ উইকেটে ১৯৪ রান।
বাজে পরিস্থিতিতে ক্রিজে এসেছিলেন আফিফ। ছিল প্রচণ্ড চাপ। তবে ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের শাসন করে একটা অবস্থানে নিলে যান দলকে। সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। কিন্তু হলো না। ৭২ রানে আউট ‍হয়ে গেছেন। তার বিদায়ের পরপর বিদায় নেন সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজও। এই ব্যাটারও আলো ছড়িয়েছেন। খেলেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস। আফিফ-মিরাজ সপ্তম উইকেটে গড়েন রেকর্ড ৮৬ রানের জুটি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে এটাই সর্বোচ্চ। আফিফ দারুণ সব শটে ও পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে পেয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। ৭৯ বলে ফিফটির মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। তার ৭২ রানের ইনিংসটি ছিল ১০৯ বলে সাজানো। ছিল ৯ বাউন্ডারি। দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে সফল বোলার রাবাদা। এই ডানহাতি পেসার ১০ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে পেয়েছেন ৫ উইকেট। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন লুঙ্গি এনগিদি, ওয়েইন পারনেল, তাবরেজ শামসি ও রাসি ফন ডের ডুসেন।