আহত দুই ভাইয়ের চিকিৎসার বিষয়ে লক্ষ্য রাখছেন হাইকোর্ট

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ কক্সবাজারের চকরিয়ায় মৃত বাবার শ্রাদ্ধ করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ ভাইয়ের মৃত্যুর পর গুরুতর আহত দুই ভাই রক্তিম শীল ও হীরা শীলকে উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে হাইকোর্টকে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর হতাহতের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিন ঠিক করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে রিটের বিষয়ে শুনানি করতে গেলে বিকেল ৪টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে আদালত জানাতে বলেন- রক্তিম শীল ও হীরা শীলকে কোথায় চিকিৎসা দেওয়া যায়, তাদের কী অবস্থা? তাদের চিকিৎসার বিষয়ে আদালত লক্ষ্য রাখছেন। এরপর এ বিষয়ে শুনানি মুলতবি করা হয়। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ্ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মুনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী মো. শাহিনুজ্জামান। ক্ষতিপূরণ ও পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিতে ব্লাস্ট, আইন ও শালিস কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন এই রিটটি দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানিতে আদালত এই আদেশ দেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় উপজেলার মালুমঘাট বাজারের দেড়শ গজ উত্তরে নার্সারি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হন ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রিংভং সগীরশাহ কাটা হাসিনা পাড়া এলাকার মৃত ডা. সুরেশ চন্দ্র শীলের ছেলে ডা. অনুপম শীল (৪৬) এবং তার তিন ভাই নিরুপম শীল (৪০), দীপক শীল (৩৫) ও চম্পক শীল (৩০)। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান স্মরণ সুশীল (৩২) নামের আরও এক ভাই। দুর্ঘটনায় আহত হন দুই ভাই রক্তিম শীল ও হীরা শীল। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) সাফায়েত হোসেন জানান, হোমিও চিকিৎসক সুরেশ চন্দ্র শীল বাবার শ্রাদ্ধ করতে সনাতন ধর্মমতে সুরেশের সাত ছেলে ও এক মেয়ে ভোরবেলা ক্ষৌরকর্ম (মাথার চুল ফেলে দেওয়া) সম্পন্ন করতে হাসিনাপাড়ার তিন রাস্তার মাথায় অবস্থিত স্থানীয় মন্দিরে যান। ক্ষৌরকর্ম শেষে বাড়ি ফেরার পথে তারা একসঙ্গে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময় কক্সবাজারমুখী নম্বরবিহীন একটি পিকআপ তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই চার ভাই মারা যান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান।