জোড়া সেঞ্চুরিতে ভারতকে প্রথম ম্যাচেই হারাল প্রোটিয়ারা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ টেস্ট সিরিজ জয়ের ধারাবাহিকতা ওয়ানডে সিরিজেও ধরে রাখলো দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ভারতকে ৩১ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। টেম্বা বাভুমা এবং রাশি ফন ডার ডুসেনের অসাধারণ দুটি সেঞ্চুরির ওপর ভর করেই এই সাফল্য অর্জন করলো দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্ট সিরিজে প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল ভারত। এরপর তারা ভেবেছিল, হয়তো প্রথমবারের মত দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জয় করে ইতিহাস সৃষ্টি করবে। কিন্তু, সেটা সম্ভব হয়নি। পরের দুই টেস্ট টানা জিতে নেয় প্রোটিয়ারা। জয়ের জন্য ২৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৬৫ রানে থেমে যায় ভারত। এবার ওয়ানডে সিরিজ। ইনজুরির কারণে রোহিত শর্মা না থাকায় লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বে খেলতে নামে ভারত। পার্লের বোল্যান্ড পার্কে টস জিতে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতেই কুইন্টন ডি কক এবং জানেমান মালানের জুটি ভেঙে ভারতকে আনন্দে ভাসিয়েছিল জসপ্রিত বুমরাহ। ৪১ বল খেলে ২৭ রান করে ডি কক আউট হয়ে গেলে মাঠে নামেন এইডেন মারক্রাম। মাত্র ৪ রান করে তিনি রানআউট হওয়াতে কিছুটা বিপর্যয় তৈরি হয় প্রোটিয়াদের। কিন্তু অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা এবং রাশি ফন ডার ডুসেন মিলেই প্রোটিয়াদের বিপর্যয় থেকে শুধু টেনে তোলেননি, জয়ের রাস্তাও তৈরি করে ফেলেন। ২০৪ রানের বিশাল জুটি গড়েন এ দু’জন। ১৪৩ বল খেলেন বাভুমা। আউট হন ১১০ রান করে। ক্যারিয়ারে এটা তার মাত্র দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ৮টি বাউন্ডারির মার মারেন তিনি। তবে মারমুখি ছিলেন রাশি ফন ডার ডুসেন। ৯৬ বল খেলে ১২৯ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কার মার মেরেছেন ৪টি। ক্যারিয়ারে এটা তার মাত্র দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এবং ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস এটা।
শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দাঁড় করা ২৯৬ রান। ভারতের হয়ে জসপ্রিত বুমরাহ ২টি এবং ১টি উইকেট নেন অশ্বিন। জবাব দিতে নেমে শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি এবং শার্দুল ঠাকুর দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। বোলার হয়েও হাফ সেঞ্চুরি করেন শার্দুল ঠাকুর। ৪৩ বল খেলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শিখর ধাওয়ান করেন ৭৯ রান। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরে নিজের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখলেন ধাওয়ান। ৬৩ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু এই তিনটি ইনিংস পরাজয় এড়াতে যথেষ্ট ছিল না। ৩১ রানে হার মানতে হলো ভারতীয়দের। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি, তাবরিজ শামসি এবং আন্দিল পেহলুকাইয়ো। ১টি করে উইকেট নেন এইডেন মারক্রাম এবং কেশব মাহারাজ।