“শতভাগ স্কুল ভ্যাকসিনেশন অর্জন করেছে মাগুরা”

0

মাগুরা সংবাদদাতা॥ শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে চলতি মাসে ৯২ হাজার ১৮৮ জন শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা দিয়ে দেশের প্রথম জেলা হিসেবে মাগুরা শতভাগ স্কুল ভ্যাকসিনেশন অর্জন করেছে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে রাইজিংবিডিকে এতথ্য জাানান মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম। আশরাফুল আলম জানান, চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সরকার দেশে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৭৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করে। শিক্ষার্থীদের টিকা নিবন্ধনের নিয়মও শিথিল করা হয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তৈরি তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে পারবে বলে সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলার শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলার প্রায় ১৫০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। টিকা ফরম পূরণ করে লাইনে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা নেয়। ৪ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারির (বৃহস্পতিবার) মধ্যে জেলার চারটি উপজেলায় ৯২ হাজার ১৮৮ জন শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার মহম্মদপুর সদরের সরকারি আর.এস.কে.এইচ ইনস্টিটিউশনের দশম শ্রেণির ছাত্র শামীম হোসেন বলে, ‘টিকা নিতে এসেছি। এতদিন টিকার অপেক্ষায় ছিলাম। আজ টিকা নিচ্ছি।’ মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে টিকা নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীরা রুমানা জানায়, ‘টিকা দিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত মনে হচ্ছে। এত দিন বড়রা টিকা নিয়েছেন। এখন আমরাও নিলাম। এরপর থেকে স্কুল কিংবা বাইরে যেতে ভয় করবে না।’ সন্তানদের টিকা দিতে পেরে অভিভাবকেরাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। আসিফুর রহমান নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘এখন নতুন করে অমিক্রনের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তাই ছেলেকে টিকা দিতে পেরে ভালো লাগছে।’ মাগুরা জেলায় প্রথম দিন ৪ জানুযারি সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়। টিকা দেওয়ার এই কর্মসূচি চলে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রামানন্দ পাল বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ১০টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়েছে।’ মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিকা নিশ্চিত করা হয়েছে।’ আশরাফুল আলম বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া একটি বিরাট কর্মযজ্ঞ। সবার প্রচেষ্টা ও আলোচনা করেই সময়সূচি ঠিক করা হয়। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া শেষ করতে পেরেছি। দেশের প্রথম জেলা হিসেবে মাগুরা শতভাগ স্কুল ভ্যাকসিনেশন অর্জন করায় ভালো লাগছে।’