স্মিথ-ওয়ার্নারের শূন্যের পর হেডের সেঞ্চুরি, গ্রিনের ৭৪

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ হোবার্টে গোলাপি বলের দিবারাত্রির টেস্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে চাপে রেখেছে ইংল্যান্ড। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৪১ রান করেছে অসিরা। দলের দুই তারকা ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ আউট হয়েছেন ০ রানে। একই ম্যাচে এ দুজনের শূন্য রানে আউট হওয়ার প্রথম ঘটনা এটি। তবে ওয়ার্নার-স্মিথের ব্যর্থ ঢেকে দিয়েছেন মার্নাস লাবুশেন, ট্রাভিস হেড, ক্যামেরন গ্রিনরা। ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরিতে ১০১ রান করেছেন হেড, গ্রিন খেলেছেন ৭৪ রানের ইনিংস। টেস্টের নাম্বার ওয়ান ব্যাটার লাবুশেনের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৪ রান। বৃষ্টিস্নাত কন্ডিশনে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট। গোলাপি বল হাতে নিয়ে শুরুতেই অসি ব্যাটিং লাইনআপের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চালিয়ে দেন দুই পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ও ওলি রবিনসন। তাদের দাপটে মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারায় অসিরা।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন ওয়ার্নার। তখন দলের সংগ্রহ মাত্র ৩ রান। আর ওয়ার্নার? তিনি ২১ বল খেলেও খুলতে পারেননি রানের খাতা। পরে মুখোমুখি ২২তম বলে দ্বিতীয় স্লিপে জ্যাক ক্রলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ওলি রবিনসনের প্রথম শিকারে পরিণত হন। আর এতেই ভেঙে যায় ১৩৪ বছরের পুরোনো এক রেকর্ড। সেটি হলো ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বল খেলে শূন্য রানে আউট হওয়ার বিব্রতকর রেকর্ড। এতদিন ধরে রেকর্ডটি ছিল স্যামি জোন্সের। তিনি ১৮৮৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২০ বলে করেছিলেন শূন্য রান। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার উসমান খাজাও। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে স্লিপে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ২৬ বল থেকে ৬ রান করেন আগের ম্যাচের জোড়া সেঞ্চুরিয়ান খাজা। অস্ট্রেলিয়ার বিপদ আরও বাড়ে দলীয় ১২ রানে শূন্য রানে স্মিথের বিদায়ঘণ্টা বাজলে। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ৭১ রান যোগ করেন হেড ও লাবুশেন। মনে হচ্ছিল ফিফটির দেখা পেয়েই যাবেন লাবুশেন। কিন্তু ব্রডের দারুণ এক ফুল লেন্থ ডেলিভারিতে বেকায়দায় পড়ে ভূপাতিত হয়ে নিজের স্ট্যাম্প হারান তিনি। সাজঘরে ফিরতে হয় ৫৩ বলে ৪৪ রান নিয়ে। এরপর প্রতিরোধ গড়েন হেড ও গ্রিন। এ দুজনের জুটিতে আসে ১২১ রান। দলীয় ২০৪ রানের মাথায় হেডের বিদায়ে ভাঙে জুটি। ক্রিস ওকসের বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরার আগে ১১৩ বলে ১২ চারের মারে ১০১ রান করেন হেড। এর খানিক বাদে ৭৪ রান করে আউট হন গ্রিনও।