যশোরে ১০ বিএনপি কর্মীকে আটক রাতভর অভিযানে

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ কোনো কারণ ছাড়াই গত বুধবার রাতভর বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার তাদের একটি পুরনো (পেন্ডিং) মামলায় আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। এর মধ্যে ৪ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। এদিকে নেতাকর্মীদের আটকের খবর শুনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত নেতাকর্মীসহ কোতয়ালি থানা ও আদালতে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে পুলিশের একাধিক দল যশোর শহর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করে। আটকরা হলেন- উপশহর বি-ব্লক এলাকার মৃত আনছার আলীর ছেলে আলী কদর, বসুন্দিয়া ইউনিয়নের সদুল্যাপুর খানপাড়ার আব্দুল হাই বিশ্বাসের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন, মৃত আজিজুল ইসলাম খানের ছেলে ফিরোজ খান, গাইদগাছি মধ্যপাড়ার মৃত মজিবর ব্যাপারীর ছেলে নুর মোহাম্মদ, শহরের শংকরপুরের নুরন্নবীর ছেলে খুরশিদ আলম বাবু, তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে জাহিদুর রহমান তোতন, মৃত তকোব্বর শেখের ছেলে শেখ মতিয়ার রহমান, ইনছার আলী মল্লিকের ছেলে মেহেদী হাসান মিন্টু, সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর পোস্টঅফিস পাড়ার নুরুল ইসলাম গাজীর ছেলে কামরুল ইসলাম ও নরেন্দ্রপুর মিস্ত্রিপাড়ার মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে মফিজুর রহমান।
বৃহস্পতিবার পুলিশ ওই নেতাকর্মীদের একটি পেন্ডিং মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। গত ২৮ মার্চ পুলিশের ওপর কথিত হামলার অভিযোগ এনে কোতয়ালি থানায় মামলাটি করা হয়েছিলো। সদর ফাঁড়ি পুলিশের তৎকালীন ইনচার্জ ইনসপেক্টর তুষার কুমার মন্ডল এই মামলার বাদী। জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানান, আটক নেতাকর্মীদের জামিনের জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়। এ সময় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ৪ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। অন্যদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে যাদের জামিন মঞ্জুর হয়েছে তারা হলেন-আলী কদর, শেখ মতিয়ার রহমান, নুর মোহাম্মদ ও জাহিদুর রহমান তোতন। অপরদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের আটকের খবর শুনে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কোতয়ালি থানায় ছুটে যান বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি এ সময় আটক নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চান, সদর উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক নুরুন্নবী ও সদর উপজেলা বিএনপি’র নেতা আঞ্জুরুল হক খোকন। এছাড়া বিকেলেও আদালতে গিয়ে নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিয়েছেন অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। এছাড়া আদালতে গিয়ে নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেন নগর বিএনপি’র আহবায়ক সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা প্রমুখ।