ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকির মামলা খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের

0

এস এম মজনুর রহমান, মনিরামপুর (যশোর) ॥ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এস আব্দুল হকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। দখল হওয়া জমি উদ্ধার করতে গেলে আরএম ভাটার মালিক আব্দুর রাজ্জাক তার কাছে চাঁদা দাবিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান বাদি হয়ে আরএম ভাটার মালিক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন যশোরের ডিবি পুলিশকে। ডিবি পুলিশের ওসি (তদন্ত) মাসুম বিল্লাহ শুক্রবার সরেজমিনে তদন্তে যান বলে জানা গেছে।
খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম আব্দুল হক মামলায় উল্লেখ করেন, উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের কোদলাপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলী মোড়লের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক তিন বছর আগে কোন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই খেদাপাড়ায় একটি ভাটা (আরএম ব্রিক্স ) নির্মাণ করেন। অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্জাক তার ভাটা সংলগ্ন রহমত উল্লাহ নামে এক কৃষকের কয়েক বিঘা ফসলি জমি দখল করে নেন। এ নিয়ে বিরোধের একপর্যায়ে রাজ্জাকের নেতৃত্বে তার লোকজন ২০১৮ সালের ১৩ জুুলাই প্রকাশ্যে জমির মালিক কৃষক রহমত উল্লাহকে কুপিয়ে খুন করেন। এ ঘটনায় রাজ্জাকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগ, পরবর্তীতে আরএম ভাটার মালিক আব্দুর রাজ্জাক অনুরুপভাবে তার (চেয়ারম্যানের) সাত বিঘা জমি দখলের পর ভাটা সম্প্রসারণ করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়ভাবে সালিশসভার মাধ্যমে বছরে প্রতিবিঘা জমি লিজ বাবদ চেয়ারম্যানকে ২৫ হাজার করে টাকা পরিশোধের চুক্তি হয়। কিন্তু অভিযোগ করা হয়েছে, তিন বছর পেরিয়ে গেলেও লিজের টাকা পরিশোধ না করে টালবাহানা করতে থাকেন। ফলে উপায়ন্তু না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ১৫ আগস্ট ওই জমি উদ্ধার করতে যান। এ সময় ভাটা মালিক জমি ফিরিয়ে দেয়ার নামে চেয়ারম্যানের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আব্দুর রাজ্জাক ইউপি চেয়ারম্যানকে জীবননাশের হুমকি দেন। ফলে চেয়ারম্যান আব্দুল হক বাদি হয়ে ১৮ আগস্ট ভাটা মালিক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন যশোরের ডিবি পুলিশকে। ফলে শুক্রবার ডিবি পুলিশের ওসি (তদন্ত) মাসুম বিল্লাহ সরেজমিনে তদন্ত করেন। তবে আরএম ভাটার মালিক আব্দুর রাজ্জাক তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন উল্লেখ করে জানান, সাত বিঘা নয়, সাড়ে চার বিঘা জমি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে বিঘাপ্রতি বছরে ১৭ হাজার টাকায় লিজ নেয়া হয়। এ ছাড়াও লিজের টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করা হয়।