বাংলাদেশের ২০ গোলের উৎসবের টুর্নামেন্ট

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ পাঁচ ম্যাচে ২০ গোলের বিপরীতে কোনো গোল হজম করেনি বাংলাদেশ! চ্যাম্পিয়ন শব্দটা তো এমন দলের পাশেই মানায়। ব্যতিক্রম হয়নি। বাংলাদেশের মেয়েরা উড়িয়েছে বিজয়ের কেতন। জিতেছে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। তাও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন।
ঘরের মাঠ। প্রত্যাশার পারদ ছিল আকাশচুম্বী। আগের আসরেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় মেয়েদের ওপর ছিল প্রত্যাশার চাপ। কিন্তু কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সেই চাপ যেন নিমিষেই আড়াল হয়ে যায়। দুর্দান্ত ফুটবলশৈলী, নিখুঁত প্লেসিং ফুটবল, দৃঢ় মনোবল, হার না মানা প্রতিজ্ঞা; সব মিলিয়ে ধ্রুপদী ফুটবলে মন ভোলানো এক রাত। যে রাতে ট্রফি হাতে মারিয়া মান্ডা, আনাই মোগিনি, আঁখি খাতুনদের মুখগুলো জ্বলজ্বল করছিল ধ্রুবতারার মতো। ধুমকেতু হয়ে ধ্রুবতারার জায়গাটি দখল করেছেন তারা।

এর পেছনে ছিল অক্লান্ত পরিশ্রম, পরিকল্পনা ও সেরা হওয়ার তাড়না। তিনে মিলে বাংলাদেশের শোকেসে আরেকটি শিরোপা। বাংলাদেশ শিরোপা অর্জনে হারিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে। পুরো টুর্নামেন্টে ভারত দুটি গোল হজম করেছে। বাংলাদেশই দিয়েছে দুই গোল। মুখোমুখি প্রথম লড়াইয়ে এক গোল দেওয়ার পর ‘বিগ ফাইনালে’ মোগিনির দূরপাল্লার সুইং করা শট হৃদয় জয় করে নেয় কোটি ফুটবলপ্রেমীর। গোটা টুর্নামেন্টে আলাদা করে নজর কেড়েছেন কক্সবাজারের মেয়ে শাহেদা আক্তার রিপা। ৫ ম্যাচে ৩ টি খেলার সুযোগ হয়েছে। অথচ সামান্য সুযোগেই তার হাতে টুর্নামেন্ট সেরা ও ৫ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার।
বাংলাদেশের নেতা মারিয়া এর আগেও এমন উৎসব দেখেছেন। ভরা কমলাপুর স্টেডিয়ামে ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন। তার হাতেই উঠেছিল সোনালি ট্রফি। এবারো তার দল প্রত্যাশা পূরণ করে শিরোপা উৎসব করেছে। সঙ্গে বিজয়ের সূবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে ভাসিয়েছে অনাবিল আনন্দে। যে আনন্দে জড়িয়ে আছে ২০ গোল করার সুখস্মৃতি আর কোনো গোল না হওয়ার পরমানন্দ। ২০ গোল করলেন যারা: শাহেদা আক্তার রিপা (৫), আফিদা খন্দকার (৩), রূতিপর্ণা চাকমা (৩), তোহুরা খাতুন (২), মারিয়া মান্ডা (১), শামসুন্নাহার (১), স্বপ্না রানি (১), আঁখি খাতুন (১), আনুচিং মোগিনি (১), উন্নতি খাতুন (১) ও আনাই মগিনি (১)।