মোহামেডানকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরলো মেরিনার্স

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আগের ম্যাচেই চ্যাম্পিয়নশিপটা নিশ্চিত হয়ে যেতো মেরিনার্স ইয়াংসের। কিন্তু আবাহনীর বিপক্ষে একেবারে শেষ মিনিটে দুই গোল খেয়ে অপেক্ষায় থাকতে হয় আরামবাগের ক্লাবটিকে। তবে চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারণ একেবারে শেষ পর্যন্ত না এলে হয়তো লিগের মজাটাও থাকে না। সে আনন্দটাই দেশের হকিকে দিলো মেরিনার্স এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আজ ছিল মোহামেডানের বিপক্ষে মেরিনার্সের শেষ ম্যাচ। প্রয়োজন ছিল কেবল ১ পয়েন্ট। জিতলে কিংবা ড্র করলেও চ্যাম্পিয়ন। শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-২ গোলের দারুণ এক জয় তুলে নিলো মেরিনার্স। সে সঙ্গে শিরোপা উল্লাসে মেতে উঠলো ঘরোয়া হকির সেরা এই ক্লাবটি। ২০১৬ সালের পর দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট পরলো তারা। ১৫ ম্যাচে ১৪ জয়ে মেরিনার্সের অর্জন ৪২ পয়েন্ট। শুরুতেই গোল করে বসে মোহামেডান। প্রথম পেনাল্টি কর্নার (পিসি) নষ্ট করে ফেলে তারা। এরপর ম্যাচের দশম মিনিটে দ্বিতীয় পিসি থেকে গোল করে করে এগিয়ে যায় সাদা-কালো শিবির। অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমির পুশ কামরুজ্জামান পিন্টু স্টপ করার পর আর্জেন্টাইন গনজালো পেইয়াতের হিটে বল মেরিনার্সের জালে জড়ায়। পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে মরিয়া মেরিনার্স সফল হয় প্রথম কোয়ার্টারে শেষ মিনিটে। তারাও গোল করে পিসি থেকে। মিলন হোসেনের পুশ প্রদীপ মোর স্টপ করার পর সোহানুর রহমান সোহান লক্ষ্যভেদ করেন।
দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ২৫তম মিনিটে আবারও গোল পিসি থেকে। এবার গোল করে এগিয়ে যায় মেরিনার্স। মিলনের পুশ মোর স্টপ করার পর সোহানের হিটে পরাস্ত হন মোহামেডানের আল আমিন। এই অর্ধের শেষ মুহূর্তে দুটি পিসি পায় মোহামেডান। কিন্তু কোনোটিই কাজে লাগাতে পারেনি হোয়াকিম মেনিনি-অজিত কুমার ঘোষ-পেইয়াতদের দিয়ে সাজানো সাদা-কালো শিবির। তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে মোহামেডানের মেনিনির হিট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৪৩তম মিনিটে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান মেরিনার্সের বিপ্লব কুজুর। প্রিন্স লাল হিট ঠেকিয়ে দেন তিনি। ৫১তম মিনিটে বক্সে ঢুকেই জোরালো হিট নেন প্রদীপ মোর। বল আটকানোর সুযোগই পাননি মোহামেডান গোলরক্ষক। ছয় মিনিট পর মোহামেডানের সারোয়ারি হোসেনের গোলে জমে ওঠে ম্যাচ। কিন্তু মেরিনার্সের কপালে শঙ্কার মেঘও দেখা দেয়। কারণ আবাহনীর বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৩-৩ সমতায় থাকার পর খেলার দুই সেকেন্ড বাকি থাকতে গোল হজম করে হেরে যায় তারা। কিন্তু চ্যাম্পিয়নশিপের নার্ভ ধরে রেখে শেষ পর্যন্ত সব শঙ্কা দূর করে দেয় মেরিনার্স। মেতে উঠে শিরোপা উল্লাসে।