মনিরামপুরে চরমপন্থি প্রকাশের মরদেহ উদ্ধার

0

স্টাফ রিপোর্টার, মণিরামপুর (যশোর)॥ যশোরের মণিরামপুরে একাধিক হত্যা মামলার আসামি প্রকাশ মল্লিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মনিরামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী মাহাবুবুর রহমান জানান, রবিবার সকালে একটি মাছের ঘের থেকে প্রকাশ মল্লিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মাথা ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি একটি হত্যা মামলায় পলাতক ছিলেন।
প্রকাশ অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ফুলেরগাতী গ্রামের প্রহ্লাদ মল্লিকের ছেলে। চরমপন্থি হিসেবে এলাকায় তার কুখ্যাতি রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। প্রকাশের স্ত্রী বিউটি মল্লিক জানান, রফিক হত্যা মামলায় আসামি হওয়ার পর বেশ কয়েকমাস পলাতক জীবনযাপন করে তার স্বামী কয়েকদিন আগে বাড়িতে আসেন আদালতে আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি নিতে। বড় মেয়ে পিয়া মণ্ডল জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে তার বাবা এলাকার পলাশ কুমার নামে এক ব্যক্তির সাথে মোটরসাইকেলে মণিরামপুরের নেহালপুরের কালিবাড়ি বাজারের উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রবিবার বেলা ১১ টার দিকে কালিবাড়ি-মনোহরপুর সড়কের পাশে ওয়াদুদের মাছের খামারে লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। নেহালপুর ফাঁড়ি ও মনিরামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রকাশের লাশ উদ্ধার করে। নিহত প্রকাশের বড়ভাই অসিত মল্লিক জানান, তাদের ধারণা পূর্ব শক্রতার জেরে দুর্র্বৃত্তরা হয়ত প্রকাশকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে হত্যার পর মাছের ঘেরে ফেলে গেছে। লাশের মাথা ও গলায় কোপানোর ক্ষত রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে উল্লেখ করে মনিরামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী মাহাবুবুর রহমান জানান, প্রকাশের নামে রফিক হত্যা ও চাঞ্চলকর চার হত্যা মামলাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তবে এর মধ্যে সব মামলাতে প্রকাশ মল্লিক জামিনে থাকলেও রফিক হত্যা মামলায় পলাতক ছিলেন। দুপুরে মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য ২০০১ সালে হরিদাসকাটির দিগঙ্গা-কুচলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে চরমপন্থিদের ব্রাশ ফায়ারে নিহত হন বুলবুল, সেদু, ধনঞ্জয় ও দেবু। এছাড়া একই বছরে খুন হন অভয়নগরের যুবক ইকরামুল ইসলাম ইকরাম। চাঞ্চল্যকর এ দুটি মামলার আসামি ছিলেন প্রকাশ মল্লিক। সর্বশেষ গত বছর মনিরামপুরে খুন হন চরমপন্থি নেতা রফিক। রফিক হত্যা মামলাতেও প্রকাশ আসামি হন।