চৌগাছার রাজ্জাক হত্যা: স্ত্রী সাবানা ও কথিত প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড বহাল

0

চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা॥ ॥ সাত বছর আগে যশোরের চৌগাছায় আব্দুর রাজ্জাককে হত্যার দায়ে স্ত্রী সাবানা খাতুন ও তার কথিত প্রেমিক আব্দুল অলিমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। জজ আদলতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল খারিজ করে বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ রায় দেয়। আদালতে সাবানা খাতুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি। আব্দুল অলিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাহেদ ইকবাল। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ বলেন, “ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরে অনুমোদনের আবেদন) অনুমোদন দিয়ে আসামিদের বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।” আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাবানা খাতুন হত্যার দায় স্বীকার করলেও পরে তা তিনি প্রত্যাহার করেছিলেন। “তাছাড়া কথিত প্রেমিক আব্দুল অলিম সাবানার ননদের স্বামী। সাবানার ননদ বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যে বলেছেন, তার স্বামীর সাথে ভাবি সাবানার কোনো সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু এ বিষয়গুলো বিচারিক আদালত এবং উচ্চ আদালতও আমলে নেননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।”
২০১৪ সালের ৯ মার্চ রাতে যশোরের চৌগাছা উপজেলার আজমতপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাককে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুদিন পর নিহতের ভাই মিন্টু বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্ত্রী সাবানা খাতুন ও আব্দুল আলিমকে আসামি করা হয়। সেখানে বলা হয়, সাবানার সাথে আব্দুল আলিমের ‘প্রেমের সম্পর্ক’ ছিল। তা জেনে ফেলার পর তাতে বাধা দেওয়ায় আব্দুর রাজ্জাককে হত্যা করা হয়। এ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর সাবানা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আলিমের সঙ্গে সম্পর্ক এবং হত্যার দায় স্বীকার করে নেন। তবে পরে তিনি তা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও চতুর্থ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শরীফ হোসেন হায়দার দুই আসামির ফাঁসির রায় দেয়। নিয়ম অনুযায়ী দণ্ডিতদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আবেদন (ডেথ রেফারেন্স) হাই কোর্টে আসে। আর বিচারিক আদালতের রয়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন দণ্ডিতরা। শুনানি শেষে আসামিদের আপিল খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখল উচ্চ আদালত।