চিঠি দিয়ে শিশু অপহরণ, আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণে উদ্ধার

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ চিঠি দিয়ে অপহরণের ১১ ঘণ্টা পর আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছেলেকে ফিরে পেয়েছেন বাবা-মা। সোমবার (৮ নভেম্বর) রাতে অপহরণের শিকার শিশু ইব্রাহিমকে মাওয়া ঘাট থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর আগে বিকেলে যশোরের অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের বর্ণী গ্রাম থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত ইব্রাহিম (৪) বর্ণী গ্রামের ইসলাম মোল্যার ছেলে। ইসলাম মোল্যা জানান, নওয়াপাড়া বাজারে একটি চায়ের দোকান রয়েছে আমার। সে দোকানের ওপর নির্ভর করে আমার সংসার চলে। সোমবার সকালে দোকানে ছিলাম। বেলা আনুমানিক ৩টার সময় মোবাইল ফোনে জানতে পারি আমার একমাত্র ছেলে ইব্রাহিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দ্রুত বাড়ি ফিরে গেলে আমাকে একটি চিঠি দেখানো হয়। চিঠিতে আমার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে এবং মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা নিয়ে মাওয়া ঘাটে আসতে বলা হয়েছে।
ঘটনাটি পুলিশকে জানালে ছেলেকে হত্যা করা হবে বলে চিঠিতে লেখা রয়েছে। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর ভয়ে আমি পুলিশকে না জানিয়ে ধারদেনা করে আড়াই লাখ টাকা জোগাড় করি। সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী ও ছেলের মামা আবু সুফিয়ানকে চিঠির নির্দেশনা মোতাবেক আড়াই লাখ টাকা দিয়ে মাওয়া ঘাটে পাঠিয়ে দেই। ইব্রাহিমের মামা আবু সুফিয়ার বলেন, একমাত্র ভাগনেকে হারানোর ভয়ে পুলিশকে না জানিয়ে বোনকে সঙ্গে নিয়ে মাওয়া ঘাটে যাই। রাত আনুমানিক ১০টার সময় মাওয়া ঘাট সংলগ্ন একটি সড়কে আমাদেরকে আসতে বলা হয়। সেখানে পৌঁছালে একটি প্রাইভেটকার থেকে মাথায় হেলমেট পরা দুই ব্যক্তি আমাদের কাছে আসে এবং মুক্তিপণের তিন লাখ টাকা দিতে বলে। অনেক কষ্টে আড়াই লাখ টাকা জোগাড় করা হয়েছে এমনটি জানালে তারা ওই টাকা নিয়ে প্রাইভেটকার থেকে ইব্রাহিমকে নামিয়ে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। শিশু ইব্রাহিমের মা বিউটি বেগম জানান, ঘটনার দিন আনুমানিক বেলা ১১টার সময় বাড়ির উঠানে বসে আইসক্রিম খাচ্ছিল ইব্রাহিম। কিছুক্ষণ পর ইব্রাহিমকে উঠানে না পেয়ে প্রতিবেশীদের বাড়িতে খোঁজাখুজি শুরু করি। এরপর উঠানে একটি সাদা কাগজে লেখা চিঠি পাই। চিঠি পাড়ার পর আমার জ্ঞান হারিয়ে যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় পাথালিয়া পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এসআই শামছুর রহমান জানান, শিশু ইব্রাহিম অপহরণের বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারব না। ওই পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিক বা লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।