বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভ্রমণখাতে রাজস্ব আয় প্রায় ৬ কোটি টাকা

0

বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা ॥ দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতের বাণিজ্য শহর কলকাতাসহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ, চিকিৎসা, ব্যবসা, শিক্ষাসহ স্বজনদের সাথে দেখা করতে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ যান। সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা, যাতায়াতে সময় ও খরচ কম বিধায় ভারতগামী অধিকাংশ মানুষ এপথ ব্যবহার করে থাকেন।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন সুত্রে জানা যায়, গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ১২লাখ ৩৭ হাজার ৮০১ জন যাত্রী পারাপার করেছেন। এসময় বাংলাদেশ থেকে ৬ লাখ ২৯ হাজার ৩২৫ জন পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে প্রবেশ করেন। অপর দিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন ৬ লাখ ৮ হাজার ৪৭৬ জন পাসপোর্ট যাত্রী। একই সময়ে ভারত বাংলাদেশ ছাড়াও ১ হাজার ৬৭৮ জন বিদেশি পাসপের্ট যাত্রী এ বন্দর ব্যবহার করেছেন। গত অর্থ বছরে ভ্রমণ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয় প্রায় ৬ কোটি টাকা।
তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্রমণ কর ১০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এছাড়াও ১২ বছরের নিচের যাত্রীদের জন্য ৫০০ টাকা ভ্রমণ কর নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ৫ বছরের নিচে, অন্ধ, ক্যান্সার আক্রান্ত ও পঙ্গুত্ববরণকারী যাত্রীদের ক্ষেত্রে কোনও ভ্রমণ করের প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কতৃপর্ক্ষ। পূর্বে ৫০০ টাকা ভ্রমণকর পরিশোধ করে যাত্রীরা আসা-যাওয়া করতে পারতেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবীব জানান, ভারত ও বাংলাদেশগামী পাসপোর্ট যাত্রীদের সুবিধার্থে ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহোযোগিতা করা হয়। কোন ধরনের অনিয়ম করা হয় না বিধায় প্রতি বছর ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্ট য়াত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, ই-পাসপোর্ট ব্যবহারকারীদের জন্য আলাদা,আলাদা আগমন-বহির্গমন গেট রয়েছে। ইমিগ্রেশন পুলিশ ভারতে গমনাগমন সংক্রান্ত কার্যাবলী দ্রুত সম্পাদন করছেন। সেখানে উপস্থিত দেশি-বিদেশি যাত্রীরা পুলিশের আন্তরিক ব্যবহারসহ ইমিগ্রেশন সেবার প্রশংসা করেন।