বাগআঁচড়ায় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বকুলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

0

শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা ॥ যশোর শার্শার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইলিয়াছ কবির বকুলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল খালেকের ভাইপো আরিফুজ্জামান। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন বাগআঁচড়ার ইকবাল হোসেন তুতুল, আবু তালেব মন্ডল, সোহাগ ও পল্টু এবং বামুনিয়ার (সোনাতনকাঠী) আশরাফ আলী আশু, জামির হোসেন, আক্তার মাস্টার, আনোয়ার হোসেন আনার, মনির বিশ্বাস, গোলাম মোস্তফা তিত ুও শামছুর রহমান। বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় তার চাচা স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল খালেকের সমর্থক ও কর্মীরা বসতপুর বাজারে পথসভা করে সোনাতনকাঠী বাজারে ফিরছিলেন। এ সময় আসামিরা একতাবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করে। এ সময় আসামিরা তার চাচার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্র্ণ ও উষ্কানিমূলক শ্লোগান দেয়। এপর্যায়ে আসামিরা তাদের ৩ জন কর্মীকে পিটিয়ে জখম করে। আহতদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল খালেক বলেন, তার বিজয় নিশ্চিত জেনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নানা ষড়যন্ত্র করছে। তার কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। গভীর রাতে সোনাতনকাঠী বাজারে তার অফিস ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি পুড়িয়ে দিয়েছে। শার্শা থানা পুলিশের ওসি বদরুল আলম খান জানান, ‘স্বতন্ত্র প্রাথীর পক্ষে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’ এদিকে গতকাল দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইলিয়াছ কবির বকুল রবিবার রাতের ঘটনায় আব্দুল খালেককে দায়ি করে তাকে বিএনপি-জামায়াতের লোক বলে দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, এ ঘটনায় রাতে আব্দুল খালেকসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে শার্শা থানায়।