যশোরে সরকারি অর্থে দ্রুত ৫০০ শয্যা হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু

0

তহীদ মনি ॥ যশোর মেডিকেল কলেজে ৫শ শয্যা হাসপাতাল স্থাপনের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে। প্রি একনেকে কাজ চলছে। সরকারি ফান্ড দিয়েই হাসপাতালটি নির্মাণ হবে। একনেকে পাস হলে আগামী বছরের প্রথমার্ধে টেন্ডার আহ্বান হতে পারে। হাসপাতাল নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা ভারতের লাইন অব ক্রেভিট (এলওসি) অপসারিত হয়েছে। এখন সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে (জিওবি) খাতেই হাসপাতালটি নির্মিত হবে। যশোর মেডিকেল কলেজ ২০১৫ সালে চালু হলেও অদ্যবধি তার জন্যে ৫শ শয্যা হয়নি। এর প্রধান কারণ হিসেবে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, ভারতের এলওসি মোতাবেক যশোরসহ দেশের ৪টি মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল তৈরির কথা ছিল। অন্য মেডিকেল কলেজগুলো হচ্ছে পাবনা, নোয়াখালি ও কক্সবাজারে। এলওসি’র সাথে চুক্তি মোতাবেক ভারতের ৭০ শতাংশ ঋণ ও বাংলাদেশের ৩০ শতাংশ ফান্ড নিয়ে হাসপাতালগুলো নির্মিত হবে। তবে বছরের পর বছর অপেক্ষার পরও ভারতীয় ফান্ডের অভাবে এলওসি কার্যকর হয়নি। এমতাবস্থায় মেডিকেল শিক্ষা কার্যক্রম ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত হতে থাকে। এ পর্যায়ে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণে অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. মহিদুর রহমান ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ একাধিকবার স্বাস্থ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ শুরু করেন। এরই এক পর্যায়ে মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব চাওয়া হয় বলে জানান, কলেজটি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আযম সাকলায়েন। এছাড়া গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূরসহ উপসচিব সহকারী সচিব, পরিচালক যশোর মেডিকেল কলেজে আসেন। এসময়ও তারা ৫শ শয্যা হাসপাতাল কার্যক্রমের অগ্রগতির বিষয়ে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময়কালে তাদের আশ্বস্ত করেন। তারা জানান, এতদিন যে বাধা ছিল, সেসব বাধা দূর হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ডা. সাকলায়েন আরো জানান, দেরিতে নির্মাণ হওয়ায় শিক্ষায় ক্ষতি হলেও অন্য একটি সুবিধা হয়েছে। এলওসি অনুযায়ী হাসপাতাল নির্মিত হলে মাত্র ১৯টি বিভাগ বা শাখা থাকতো কিন্তু এখন জিওবি’র ফান্ডে নির্মাণের সময় ৩০টি বিভাগ পাওয়া যাবে হাসপাতালে। এছাড়া একটি নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, মসজিদ, হলরুম ও জিমনেসিয়াম তৈরি হবে। এলওসি’র আওতায় এসব নির্মিত হতো না। ইতোমধ্যে ২৫ একর জমিও প্রস্তুত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যশোর মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ডা. মো. মহিদুর রহমান জানান, কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। যে প্রস্তাব জমা দেয়া হয়েছে তার বাংলা ভার্সন চাওয়া হয়েছে। ইতেমধ্যে বেশ কিছু প্রসেসিং হয়েছে। তিনি জানান, প্রিএকনেকের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। খুব শিগগিরই একনেকে উঠবে। একনেকে পাস হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী অধ্যক্ষ আরো জানান, যেভাবে প্রক্রিয়াটি এগোচ্ছে তাতে আশা করা যায় ২০২২ সালের প্রথমদিকেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।