খুলনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে পুলিশের বাঁধা, তিন কর্মী আহত

0

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা॥ দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে খুলনায় স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি পুলিশী বাঁধায় পন্ড হয়েছে। পুলিশ বিনা উস্কানীতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন আয়োজকরা। পুলিশ কর্মসূচিস্থলের মাইক বন্ধ করে দেয়, ব্যানার কেড়ে নেয়। এ সময় কয়েকজন কর্মীকে গ্রেফতার করতে চাইলে নেতৃবৃন্দের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। ধাওয়া ও ধস্তাধস্তির ঘটনায় তিন কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৩টায় কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মানববন্ধন শুরু করে খুলনা মহানগর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। সমাবেশ থেকে বক্তারা দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধে সরকারের ব্যর্থতা ও মুনাফালোভী সিন্ডিকেটকে দায়ি করেন। সরকারের লুটপাটের কারণে মুদ্রাস্ফীতি মারাত্মক পর্যায়ে পৌছেছে। শুধু তাই নয়, সরকার সাম্প্রাদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপির ওপর দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করছে।
বক্তব্য চলাকালে বিকেল ৪টার দিকে খুলনা থানার সামনে থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ কর্মসূচিস্থলে এসে পৌছান। তারা তৎক্ষণাত সমাবেশ বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। এ সময় দলীয় নেতাদের সাথে বেশ কিছু সময় বাকবিতন্ডা চলে। এক পর্যায়ে পুলিশ কর্মসূচির ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং মাইক বন্ধ করে দেয়। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতকর্মীদেরকে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। কর্মীরা রাজপথ ছাড়তে না চাইলে বাঁশি বাজিয়ে লাঠি উচিয়ে তেড়ে যায় তারা। এ সময় কয়েকজনকে আটকের চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে নেতৃবৃন্দের ধস্তাধস্তি হয়। তখন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ব্রোজেন ঢালী, বাপ্পী ও খোকন আহত হন। প্রায় আধাঘন্টা সময়ব্যাপি সেখানে চরম উত্তেজনা চলতে থাকে। পুলিশ থানার মোড় থেকে হেরাজ মার্কেট পর্যন্ত রাস্তায় বা ফুটপাতে কাউকে দাঁড়াতে দেয়নি। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি তৈয়েবুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন খান জুলফিকার আলী জুলু, শফিকুল আলম তুহিন, এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, আজিজুল হাসান দুলু, এহতেশামুল হক শাওন, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, ইবাদুল হক রুবায়েদ, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, আজিজুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর কমিটির সভাপতি একরামুল হক হেলাল। আতাউর রহমান রনু ও ফারুক হিল্টনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন আনোয়ার হোসেন আনো, সাইফুল ইসলাম মল্লিক, ইউসুফ মোল্লা, মুনতাসির আল মামুন, খায়রুজ্জামান সজীব, মহিদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম বাচ্চু, কামরুল ইসলাম, এস এম শফি, পলাশ মোল্লা, আবু তাহের হীরা, রেজাউল ইসলাম, ভূট্টো, আসলাম ঢালী, মোতালেব শেখ, আবুল কালাম, মিজান সরদার, মেহেদী হাসান বাবু, মোশারফ শিকদার, এস এম রফিকুল ইসলাম, ব্রজেন ঢালী, টিটু জমাদ্দার, শামীম আহসান, আব্দুল কাদের জনি, আবু তাহের, নজরুল ইসলাম, সাইফুর রহমান, জাহিদ, লাবু বিশ্বাস, আলাউদ্দিন, আল আমিন সরদার রতন, মঞ্জুর শাহিন রুবেল, কবির গাজী, নজরুল ইসলাম বাবু, আছাদুজ্জামান বিপ্লভ, শাহাবুদ্দিন, আলমগীর হোসেন, হারুন শেখ, খাজা, কার্ত্তিক, বাপ্পী, নিয়াম মল্লিক, জাবেদ শেখ, রফিকুল, ইফনুস, শিহাবুল ইসলাম শিহাব প্রমুখ।