বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই বিশাল জয় ওমানের

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রথমপর্বের স্বাগতিক তারা। পাপুয়া নিউগিনির (পিএনজি) বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটিতেই নিজেদের ভয়ংকর চেহারা দেখালো ওমান। এই গ্রুপেই রয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের যেন বড় ধরনের সতর্কবার্তা দিয়ে রাখলো স্বাগতিকরা। আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে রবিবার র‌্যাংকিংয়ে তিন ধাপ ওপরে থাকা পিএনজিকে পাত্তাই দেয়নি ওমান। ১০ উইকেটের (৪৪ বল হাতে রেখে) বিশাল জয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে স্বাগতিকরা। ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ তাদের। ওমানের আসল কাজটা অবশ্য করে দিয়েছিলেন বোলাররাই। ব্যাটসম্যানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩০ রানের। টি-টোয়েন্টি ফরমেটে যেটাকে মামুলি লক্ষ্যই বলা যায়। তাই বলে এত মামুলিও নয় যে ১০ উইকেট হাতে রেখেই এমন অনায়াস জয় পাওয়া যাবে। র‌্যাংকিংকে যদি শক্তিমত্তার মানদণ্ড ধরা হয়, তবে দুই দলের মধ্যে তো কিছুটা পিছিয়ে ছিল ওমানই (পিএনজি ১৫, ওমান ১৮)।
তবে ঘরের মাঠের সমর্থন যেন স্বাগতিক দলের দুই ওপেনার আকিবল ইলিয়াস আর জতিন্দর সিংকে পেছনে তাকাতেই দিলো না। ইলিয়াস ৪৩ বলে ৫০ আর জতিন্দর ৪২ বলে ৭৩ রানের ঝড় তুলে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছেড়েছেন। এর আগে পিএনজির শুরুটা হয়েছিলো ভয়াবহ, দলের রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার। সেখান থেকে মাঝে হাল ধরেন টপঅর্ডারের দুই ব্যাটার। কিন্তু শেষদিকের ভয়াবহ ব্যাটিং ধসে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে সংগ্রহটা বড় হয়নি পিএনজির। স্বাগতিক ওমানের বোলিং তোপে একপর্যায়ে মাত্র ৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে পিএনজি। শেষ পর্যন্ত তাদের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১২৯ রানে।
টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওমান অধিনায়ক জিশান মাকসুদ। তার বোলিং তোপেই পড়েছে পিএনজি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে চার বলে তিন উইকেট নিয়েছেন জিশান। সবমিলিয়ে ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইনিংসের পঞ্চম বলেই সাজঘরে ফিরে যান টনি উরা। পরের ওভারের তৃতীয় বলে একই পথ ধরেন আরেক ওপেনার লেগা সিয়াকা। শূন্য রানে দুই উইকেট পতনের পর তবে তৃতীয় উইকেটে পাল্টা আক্রমণ করেন অধিনায়ক আসাদ ভালা ও চার নম্বরে নামা চার্লস আমিনি। এ দুজনের জুটিতে মাত্র ১০ ওভারেই আসে ৮১ রান। ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে রানআউটের মাধ্যমে ভাঙে এই জুটি। দূর্ভাগ্যজনক আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ১ ছয়ের মারে ২৬ বলে ৩৭ রান করেন আমিনি। তবে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন অধিনায়ক ভালা। ইনিংসের ১৫তম ওভারে কলিমউল্লাহর বলে আউট হন ভালা। তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৪৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। দলীয় ১০২ রানের মাথায় চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ভালার বিদায়ের পরপরই মূলত মোড়ক লাগে পিএনজির ইনিংসে। শেষের ছয় ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৭ রান করতে পেরেছে পিএনজি। এর মধ্যে দলীয় ১১২ থেকে ১১৮ রানের মধ্যেই পাঁচটি উইকেট হারায় তারা। যার ফলে শেষ হয়ে যায় বড় স্কোর গড়ার সম্ভাবনা। ওমানের পক্ষে ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন জিশান। এছাড়া বিলাল খান ও কলিমউল্লাহর শিকার ২টি করে উইকেট।