শালিখায় সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ

0

শহিদুজ্জামান চাঁদ,শালিখা (মাগুরা) ॥ মাগুরার শালিখা উপজেলার হলুদাভ সরিষাক্ষেতের মৌ মৌ গন্ধে হৃদয় জুড়াচ্ছে। জুড়াচ্ছে দুচোখ। দিগন্ত জোড়া হলুদের মাঠ মনকে করছে উতালা। উপজেলার প্রায় সর্বত্র এখন এ চিত্র চোখে পড়ছে।

এলাকা ঘুরে ও মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শালিখা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বিশেষ করে উঁচু জমিতে এবার ব্যাপক হারে সরিষার আবাদ হয়েছে। হলুদে ছেয়ে গেছে ফসলি জমি। মাঠের পর মাঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষা ফুল। সেখানে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি। হলদে ফুলের অপার সৌন্দর্য উপভোগে আসছে মানুষ।

উপজেলার ভাটোয়াইল গ্রামের রেজাউল মোল্লা জানান, তিনি দুই একর জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। ফুল দেখে মনে হচ্ছে ফলন এ বছর ভালোই হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তিনি সরিষা বিক্রি করে লাভবান হবেন।

শতখালী গ্রামের কুটি মিয়া জানান, গত বছর সরিষা বিক্রি করে ভালো দাম পেয়েছেন তিনি। এ বছর এক বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন।

উপজেলার আড়পাড়া,তালখড়ী ,গঙ্গারামপুর,শালিখা,বুনাগাতী ও শতখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় এবার সরিষা আবাদ হয়েছে। ফুল দেখে কৃষকরা আশায় বুক বেঁধেছেন ভালো ফলনের। তাই কুয়াশা উপেক্ষা করে ক্ষেত পরিচর্যা করছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, জমি থেকে সরিষা ওঠার পর ওই জমিতে বোরোর আবাদ করা যায়। এতে কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায় ও বোরোর ফলন ভালো হয়। এ বছর উচ্চ ফলনশীল আগাম জাতের সরিষার চাষ করছেন চাষিরা। এই ফসল চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি। এতে সেচ দিলেও চলে, না দিলেও ফসল কমে না। বর্তমানে মান অনুযায়ী বাজারে প্রতি মণ সরিষার দাম ৩ হাজার থেকে ৩৫ শ টাকা।

শালিখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসনাত বলেন, এ বছর শালিখা উপজেলায় ৭ হাজার ৩ শ ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৭৩০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।