একসাথে খাওয়া, গল্পগুজব ও মদ পানের পর হত্যা করা হয় ভ্যান চালক মাসুদকে

প্রধান সন্দেহভাজন আটক, আদালতে স্বীকারোক্তি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে মাসুদকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার আগে ঝিকরগাছা উপজেলার বায়শা গ্রামের প্রবাসী রবিউল ইসলামের নির্মাণাধীন বাড়িতে মাসুদকে নিয়ে তারা একসাথে খাবার খেয়েছিলেন ও মদ পান করেছিলেন। এ সময় গল্পগুজব চলছিল। এরই এক ফাঁকে ভ্যান পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহৃত কাপড় গলায় পেঁচিয়ে মাসুদকে হত্যা করেন মামুন ও আলী হাসান।

শনিবার ঝিকরগাছা আমলী আদালতে দেওয়া১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আটক মামুন হত্যার এই বর্ননা দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ঝিকরগাছা থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (তদন্ত) মো. আবু সাঈদ জানিয়েছেন, আটক আসামি মামুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ছিনতাইকৃত ভ্যান বিক্রির দায়িত্ব ছিল আগে আটক আলী হাসানের। ১৭ হাজার টাকায় ভ্যান বিক্রি করা হলেও আলী হাসান মামুনকে মিথ্যা বলেছিলেন যে ভ্যান ৯ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার টাকা ভ্যানবহনসহ অন্যান্য কাজে ব্যয় করা হয়েছে এবং বাকি ৭ হাজার টাকার মধ্যে সাড়ে ৩ হাজার টাকা মামুনকে দিয়েছেন আলী হাসান।

উল্লেখ্য, শার্শা উপজেলার উলাশী খালপাড় এলাকার আজিজ খানের ছেলে মাসুদ ভ্যান নিয়ে ৬ অক্টোবর সকালে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফিরে আসেননি। ৭ অক্টোবর মাসুদের পিতা আজিজ খান শার্শা থানায় একটি জিডি করেন।

১০ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঝিকরগাছা থানার পুলিশ বায়শা গ্রামের প্রবাসী রবিউল ইসলামের নির্মাণাধীন বাড়ির রান্নাঘর থেকে মাসুদের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। নিহতের পিতা আজিজ খান থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, কলাকৌশল ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত আলী হোসেনকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তিতে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার যুগিপুকুরিয়া থেকে ছিনতাইকৃত ভ্যান উদ্ধার এবং ভ্যান ক্রয়ে যুক্ত আরও দুই জনকে আটক করা হয়।

সর্বশেষ, গত বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে মাসুদের হত্যায় জড়িত মামুনকে আটক করেছে পুলিশ।