খুলনায় পেঁয়াজ-মরিচ-তেলের বাজারে ঊর্ধ্বগতি

0

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা জানান, মানুষের নিত্য দিনের বাজারে অপরিহার্য তিন উপাদান- পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল ও কাঁচা মরিচের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সপ্তাহ না ঘুরতেই দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে জনসাধারণ। অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন চাহিদা কমিয়ে অল্প পরিমাণে কিনে বাড়ি ফিরতে। পাঁচ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ টাকা। পিছিয়ে নেই ভোজ্য তেলের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে পাঁচ টাকা। বাজারে দেশি কাঁচা মরিচের সংকট থাকায় কদর বেড়েছে বরজ ঝালের। প্রতিকেজি বরজ (টেপা ঝাল) ঝালের খুচরা মূল্য এখন ২০০ টাকা কেজি। নগরীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতিকেজি পেঁয়াজের খুচরা মূল্য ৮০ টাকা। মাত্র চার দিন আগেও যা ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি কোথাও ১৪৫, কোথাও ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে বেড়েছে পাঁচ টাকা। বর্তমানে এক লিটারের সয়াবিন তেলেন বোতল ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুলনার সোনাডাঙ্গা ট্রাক টার্মিনালের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও জাকারিয়া বাণিজ্য ভাণ্ডারের মালিক চাঁন মিয়া জানান, ভারতের বাজারে দর বাড়ায় দেশি এ পণ্যটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩৭ থেকে ৩৮ টাকায়। যেহেতু পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি নির্ভর পণ্য। এ অবস্থা দেখে দেশের অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুদ করে দাম অস্বাভাবিক আকারে বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশে এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের নিকট যে পরিমাণ পেঁয়াজের মজুদ আছে তা দিয়ে চার মাস দেশের মানুষের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব। ভারতীয় পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়না। আড়তে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা না করে পেঁয়াজের মোকামগুলোতে অভিযানের কথা বলেন তিনি। গেল বছরের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পায়। তারপর থেকে দফায় দফায় বাড়তে থাকে তেলের দাম। ৯৫ টাকার তেলের লিটার এখন ১৫৫ টাকা। বড় বাজারের তেল ব্যবসায়ী রুহুল আমিন জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি খোলা তেল ও বোতলে ৫ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন তেল কোম্পানী থেকে জানানো হচ্ছে, আগামী সপ্তাহ থেকে তেলের দাম আরও ৫ টাকা করে বাড়ানো হবে। খুচরা বাজারে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বাজারে দেশি কাঁচা মরিচের সংকট থাকায় এলসি মরিচের ছড়াছড়ি। এলসির এ পণ্যটি উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে এটি মানভেদে প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।