২০৫০ সালের মধ্যে ভয়াবহ পানি সংকট, ভুগবে ৫০০ কোটি মানুষ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥২০৫০ সালের মধ্যেই বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ পানির সংকটে পড়বে। এমন সাবধান বার্তাই দিয়েছে জাতিসংঘের অধীনস্থ ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও)। সংস্থাটির সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে দ্রুত হারে জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে। এরফলে পৃথিবীর জলস্তর উদ্বেগজনক ভাবে নীচে নেমে যেতে শুরু করেছে। ভূপৃষ্ঠ, ভূপৃষ্ঠের ঠিক নীচের স্তর, বরফ ও তুষারে জমা জলের স্তর গত দু’দশকে যে হারে কমেছে তা আগে কখনও হয়নি। গত ২০ বছরে এই জলস্তর ফিবছরে ১ সেন্টিমিটার করে নেমে যাচ্ছে। রিপোর্টটির নাম দেয়া হয়েছে, ‘দ্য স্টেট অব ক্লাইমেট সার্ভিসেস ২০২১: ওয়াটার’। এই আসন্ন পানি সংকট থেকে কী ভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে তাবে নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আসন্ন বিশ্ব সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের আলোচনা করারও আহবানও জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
আগামি ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘের ‘সিওপি-২৬’ শীর্ষক শীর্ষ সম্মেলন হবে গ্লাসগোতে। ওই রিপোর্ট আরো বলা হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকেই পানি সংকটে আছেন বিশ্বের ৩৬০ কোটি মানুষ। বছরে যারা অন্তত এক মাস পানি সংকটে থাকেন তাদেরকেই এই তালিকায় রাখা হয়েছে। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ৩৬০ কোটি থেকে বেড়ে ৫০০ কোটিতে পৌছাবে এ সংখ্যা। তাও ২০৫০ সালের মধ্যেই৷ পানি সংকট দেখা দেবে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম অংশ, ভূমধ্যসাগর, উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ায়। চরম জলাভাবে ভুগবে দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়াও। এ নিয়ে ডব্লিউএমও-র প্রধান পেত্তেরি তালাস বলেন, পানির স্তরের এই পরিবর্তন সবথেকে বেশি হয়েছে অ্যান্টার্কটিকা ও গ্রিনল্যান্ডে। বি‌শ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জনসংখ্যার বেশি ঘনত্বের এলাকাগুলিতেও জলস্তরের এই নিম্নগামী অবস্থা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা আরও চিন্তার বিষয় কারণ পৃথিবীর মোট সঞ্চিত পানির মাত্র ০.৫ শতাংশ ব্যবহারযোগ্য। বাকিটা ব্যবহার করা আদৌ সম্ভব নয়। সেই পানি অনেক গভীরে রয়েছে বলে।