টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ, বিপাকে দরিদ্র গোষ্ঠী

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই বন্ধ রয়েছে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দরিদ্র মানুষ, বিশেষ করে যারা সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য টিসিবির পণ্যের উপর ভরসা করতেন। সোমবার (৪ অক্টোবর) যেসব স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি হতো, সেখানে টিসিবির ট্রাকের জন্য অপেক্ষা করে ফিরে যেতে দেখা গেছে অনেককে।
টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলার সময় রামপুরা বাজার এলাকা এবং বাড্ডায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রায় প্রতিদিনই ট্রাকে করে বিক্রি চলে। তবে সোমবার সরেজমিনে রামপুরা ও বাড্ডা এলাকায় অনেককেই পণ্য কিনতে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
রামপুরার উলুনের বাসিন্দা হারেজ মিয়া বলেন, কম দামে পাই বলে টিসিবির ট্রাকে পণ্য কিনি। কিন্তু কয়েকদিন থেকে আর আসছে না। কি হল জানিনা, ফিরে যাচ্ছি।
কথা বলে জানা যায় তিনি টিসিবির বিক্রি বন্ধের বিষয়ে জানেন না। আবার কবে চালু হবে সে ধারণাও তার নেই।
তিনি বলেন, গরিব মানুষকে সারাবছর কেন কম দামে পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না? বাজারে জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে, ওই দামে কেনার ক্ষমতা আমাদের নেই।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) টিসিবির সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শেষ হয়েছে। তবে টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, বাজারের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে আগামী ৬ অক্টোবর থেকে আবারও নতুন করে টিসিবির বিক্রি কার্যক্রম শুরু হতে পারে। বিষয়টির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে।
এখন বিক্রি বন্ধের বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে বলেন, ২০১৯ সালের আগে বছরে তিন থেকে চারবার টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলতো। এখন প্রতি মাসে করা হয়েছে। আগে মাসে দুই সপ্তাহ বিক্রি হতো, এখন ২২ থেকে ২৪ দিন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের হিসাব-নিকাশ আর পণ্যের মজুত নিশ্চিত করার জন্য মাঝেমধ্যে বিরতি দিতে হয়।
এখন বাজারে তেল, চিনি, ডালের দাম বেশি। এসব পণ্য সাশ্রয়ী দামে টিসিবির ট্রাকসেলে পাওয়া যায়। পাশাপাশি গত মাসে ৩০ টাকা কেজি দরে পেয়াজ মিলেছে, যা বাজারের তুলনায় দামে অর্ধেক। এসব কারণে সাধারণ মানুষের আগ্রহ আরও বেড়েছে টিসিবির পণ্যে।
টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ২ কেজি পেয়াজ কিনতে পারেন। সঙ্গে ১০০ টাকা দরে ২ কেজি করে তেল এবং ৫৫ টাকা দরে চিনি ও ডাল কিনতে পারেন।
দেশজুড়ে টিসিবির চারশ ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৮০ এবং চট্টগ্রাম সিটিতে ২০টি ট্রাক পণ্য বিক্রি করে। এছাড়া প্রতিটি মহানগর ও জেলা শহরেও টিসিবির ট্রাকসেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।