লোকসমাজ ডেস্ক॥ মুদ্রার অন্য পিঠটা কী তবে দেখতে শুরু করেছেন লিওনেল মেসি! বার্সেলোনায় যে মধুময় সময় কাটিয়েছেন, তাতে অন্য জায়গায় কণ্টকাকীর্ণ পথটা কেমন তা টের পাননি তিনি। ক্যারিয়ারের একেবারে শেষ সময়ে এসে সম্ভবত সেই চরম বাস্তবতাটাই টের পাচ্ছেন মেসি। পিএসজির হয়ে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছেন। একটি গোলও তার নামের পাশে নেই। পারফরম্যান্সও খুব একটা ‘মেসি মার্কা’ নয়। যে কারণে চারদিক থেকে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন এই বিশ্বসেরা ফুটবলার। সর্বশেষ রোববার রাতে নিজেদের মাঠ পার্ক ডি প্রিন্সেসে অলিম্পিক লিওঁর বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন মেসি। নেইমার এবং কিলিয়ান এমবাপেও ছিলেন তার সঙ্গে। কিন্তু এই ম্যাচেও নিজের জাত চেনাতে পারেননি এই আর্জেন্টাইন তারকা। যদিও তার একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে এসেছিল। এরই মধ্যে ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে কোচ মওরিসিও পোচেত্তিনো মাঠ থেকে তুলে নেন মেসিকে। কোচের এ সিদ্ধান্ত মোটেও পছন্দ হয়নি মেসির। ধারণা করা হচ্ছে এসব ইস্যুতে কোচের সঙ্গে খুব একটা ভালো সম্পর্ক যাচ্ছে না মেসির।
মূলত লিওঁর বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে মেসিকে তুলে আশরাফ হাকিমিকে মাঠে নামিয়েছিলেন পোচেত্তিনো। এ ঘটনা নিয়েই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। রোববারের ম্যাচে অবশ্য গোল পেতে পারতেন মেসি। তার ফ্রি-কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর পোচেত্তিনো দ্বিতীয়ার্ধে মেসিকে তুলে রাইট ব্যাক হাকিমিকে নামান, যা নিয়ে কিছুটা হলেও অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় মেসিকে। সেই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। রিজার্ভ বেঞ্চে যথেষ্ট বিরক্তি নিয়ে বসেছিলেন মেসি। ম্যাচ শেষে অবশ্য বিতর্কে আপাতত পানি ঢেলেছেন পিএসজি কোচ। মেসিকে তুলে নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওটা ছিল আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত। আমরা মূলত তার সম্ভাব্য ইনজুরির শঙ্কা দেখেই তুলে নিয়েছিলাম। আমাদের সামনে এখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। যেখানে মেসির মতো গ্রেট খেলোয়াড়কে প্রয়োজন আমাদের।’ পোচেত্তিনো আরও বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে দলের স্বার্থে। সবাই জানে আমাদের দলে বেশ কয়েকজন গ্রেট খেলোয়াড় রয়েছে। এ কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন ছিল।’ মেসিকে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল। এ নিয়ে পোচেত্তিনো বলেন, ‘কখনো কখনো মানুষ এসব বিষয়কে দেখে খুব বড়ভাবে, কখনও কখনও দেখে খুব ছোটভাবে। তবে মেসিকে তুলে নেওয়ার পর সে কোনোরকম বিরক্তি প্রকাশ করেনি।’