যশোর ও কালীগঞ্জে সড়কে বেপরোয়া বাসে প্রাণ গেল ৪ জনের

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ যশোর শহর ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বারোবাজার এলাকায় বেপরোয়া বাস চাপায় শিশু ও নারীসহ চার জন নিহত হয়েছেন। যশোরের খোলাডাঙ্গা রেল ক্রসিংয়ে মৃত্যু হয়েছে নানি ও নাতনির এবং কালীগঞ্জে মৃত্যু হয়েছে ভ্যানচালক ও এক নারীর। যশোর শহরের চাঁচড়া-পালবাড়ী সড়কের খোলাডাঙ্গা রেলক্রসিংয়ে বাস চাপায় ভ্যান আরোহী নানি ও শিশু নাতনির মৃত্যু হয়েছে। এসময় একই পরিবারের আরও দুই জন গুরুতর আহত হন। নিহতরা হচ্ছেন সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের গফুর মোড়লের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৭০) ও সিরাজসিংহা গ্রামের সুজায়েত আলীর কন্যা সুমাইয়া (১৪)। আহতরা হচ্ছে নিহত সুমাইয়ার ভাই মামুন (২৪) ও খালাতো বোন শ্যামলী (১২)।
যশোর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক শেখ তাসনীম আহমেদ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে হতাহতরা ভ্যানে করে যশোর শহরে যাচ্ছিলেন। পথের মাঝে খোলাডাঙ্গা রেলক্রসিংয়ের কাছে পৌঁছালে পিছন থেকে একে ট্রাভেলসের একটি বাস ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে ওই ৪ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের যশোর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাহানারা বেগম ও সুমাইয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক শাহীনুর রহমান জানান, হাসপাতালে আসার আগেই নানি ও নাতনির মৃত্যু হয়। আহত মামুন এবং শ্যামলীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা গুরুতর। কোতয়ালি থানার পরিদর্শক তাসমীম আহমেদ আরও জানান, বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারীরা পলাতক।
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর এলাকায় বাসের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর তিন বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার বাদেডিহি গ্রামের মৃত জাহাবক্সের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৫০) ও পিরোজপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন (৩৫)। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মামুনুর রশিদ জানান, সকালে ভ্যানে যাত্রী নিয়ে বারোবাজার থেকে পিরোজপুর যাচ্ছিলেন মহিদুল ইসলাম। পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোরগামী শাপলা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন মহিদুল ইসলাম। আহত হন ভ্যানের তাসলিমা খাতুন নামের এক যাত্রী। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। এতে বন্ধ হয়ে যায় উভয় পাশের যানচলাচল। সড়কের দুই পাশে গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীকে শান্ত করেন। প্রায় দেড় ঘন্টার পর সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। বারোবাজার হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মেজবাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাসটি আটক করলেও চালক পলাতক রয়েছে।