অভিষেকেই মুরালির রেকর্ড ভাঙলেন মাহিশ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ তাকে দলে আনা হয়েছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজের কথা মাথায় রেখে। কিন্তু কলম্বোর উইকেট দেখে সিদ্ধান্ত বদলে ফেললেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ঠিক করলেন ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেই নামিয়ে দেয়া হবে মাঠে, সমর্থন পেলেন কোচ-নির্বাচকদেরও। শানাকার এই সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হয়েছে ম্যাচজয়ী হিসেবে। কুড়ি ওভারের ম্যাচ খেলতে দলে আসা মাহিশ থিকশানার হাত ধরেই শেষ ম্যাচটি জিতেছে শ্রীলঙ্কা। আর ২১ বছর বয়সী রহস্য স্পিনার মাহিশ ভেঙে দিয়েছেন কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরনের রেকর্ড। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ২০৩ রানের পুঁজি নিয়েও ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাদের জয়ের নায়ক অভিষিক্ত স্পিনার মাহিশ থিকশানা। যিনি ১০ ওভারে ৩৭ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। লঙ্কান স্পিনারদের মধ্যে এটিই অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
শুধু তাই নয়, শ্রীলঙ্কার হয়ে স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে ৪ বা তার বেশি উইকেটের রেকর্ড গড়েছেন মাহিশ। মঙ্গলবার তার বয়স ছিলো ২১ বছর ৩৭ দিন। এতোদিন ধরে রেকর্ডটি ছিল মুত্তিয়া মুরালিধরনের দখলে। তিনি ১৯৯৫ সালে ২২ বছর ৩৫৪ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার চতুর্থ বোলার হিসেবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই উইকেট শিকার করেছেন মাহিশ। এর আগে ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চারিথ বুদ্ধিকা, ২০০৩ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে কুশল লকুয়াচাচ্ছি এবং ২০০৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ কীর্তি দেখান থিলান তুষারা। ওয়ানডে অভিষেকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে পঞ্চম সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন মাহিশ। তবে লঙ্কান স্পিনারদের মধ্যে তার ৩৭ রানে ৪ উইকেটই সেরা। ২০১৭ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন অভিষিক্ত ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। এতোদিন এটিই ছিল অভিষেকে লঙ্কান স্পিনারদের সেরা বোলিং। তৃতীয় ওয়ানডেতে দুই দলের স্পিনাররা সমান ৮টি করে নিয়েছেন মোট ১৬ উইকেট। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে কোনো ম্যাচে স্পিনারদের নেয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড এটি। ২০১১ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে দুই দলের স্পিনাররা নিয়েছিল ১৯টি উইকেট। ম্যাচটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে স্পিনাররাই বোলিং করেছেন ৪০ ওভার। এর আগে কোনো ওয়ানডেতে স্পিনার দিয়ে এত বেশি ওভার করায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রায় ২৫ বছর আগে ভারতের বিপক্ষে এক ওয়ানডে ম্যাচে স্পিনার দিয়ে ৩৩ ওভার বোলিং করিয়েছিল প্রোটিয়ারা।