‘এটা বলে দিলে তো সবই বলে দিলাম’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রশ্নটা শুনেই মাহমুদউল্লাহ হাসছেন। উত্তরটা অনুমিতই ছিল, `এটা বলে দিলে তো সবই বলে দিলাম। কূটনৈতিক …।’
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য দলের পক্ষ থেকে কেমন উইকেট চাওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্ন আসবে জানা ছিল তার। স্বাগতিক দল উইকেটের সুবিধা নেবে এটা অনুমিতই। দল রণকৌশল সাজিয়ে উইকেটের ফরমায়েশ দিয়ে থাকে সংশ্লিষ্টদের। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে গণমাধ্যমে তা জানানোর প্রয়োজন অনুভব করেননি অধিনায়ক।
তবে মিরপুরের উইকেট চাওয়া মতো পাওয়া গেছে খুব কম সময়ই। তাই তো অতীত অভিজ্ঞতা থেকে মাহমদউল্লাহ বললেন, ‘মিরপুরের উইকেট অনুমান করা কঠিন। এখন আবার গুমোট আবহাওয়া। এজন্য টস গুরুত্বপূর্ণ হবে। যে-ই উইকেটই হোক, স্পিন নয়তো স্পোর্টিং… আমরা খেলতে প্রস্তুত।’
শের-ই-বাংলায় রয়েছে আটটি উইকেট। সাতদিনে পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। ব্যবহৃত উইকেটে খেলা হওয়ার সম্ভাবনাও আছে। তবে উইকেট নিয়ে এখনও বিস্তারিত আলোচনা হয়নি অধিনায়কের। তার দাবি, ‘আমি ঠিক নিশ্চিত নই ব্যবহৃত উইকেটে খেলা হবে কি না। এগুলো নিয়ে কথা হয়নি। মাত্রই খেলে এলাম। আবার কোয়ারেন্টাইনে ছিলাম। গতকাল একদিন অনুশীলন করেছি। সামনে কথা হবে।’
তবে মিরপুরের ২২ গজ অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ দলের জন্য সমান চ্যালেঞ্জ থাকবে বলে দাবি করলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে ও আমাদের উইকেট আকাশ পাতাল তফাত। ওখানকার উইকেট গতি থাকে, বাউন্স থাকে। বল সুন্দর ব্যাটে আসে। বাংলাদেশে আপনি উইকেট মূল্যায়ন করতে পারলে আপনি রান করতে পারবেন। আমার মনে হয় এই জিনিসগুলো বাংলাদেশের কন্ডিশনে বিবেচনায় আনতে হবে। সেজন্য দুই দলেরই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আবার আমরা ফ্ল্যাট ট্র্যাকও হতে পারে। যদি সেরকম হয় আমরা ভালো স্কোর করবো।’
ব্যাটিংয়ে ওপেনারদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিচ্ছে দল। মাহমদউল্লাহ তার বার্তাও জানিয়ে দিলেন, ‘উইকেট বিশ্লেষণ করাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে ফরম্যাট-ই খেলেন টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি, উইকেট বিশ্লেষণ গুরুত্বর্পূণ। বিশেষ করে মিরপুরে। ওপেনাররা যেভাবে শুরু করে… হাত খুলে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে তাদেরকে সেভাবেই বলে দেওয়া হয়েছে। মুক্ত মানসিকতা নিয়ে খেলে তারা যদি ভালো শুরু এনে দেয়, তাহলে পরবর্তী কয়েক ওভারে আমরা ধারাবাহিকতা দেখাতে পারব।’