বেজোসের মুখে মহাকাশ ভ্রমণের কথা শুনে একসময় হেসেছিল মানুষ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিশ্বের জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস সম্প্রতি মহাকাশ ভ্রমণ করে ইতিহাস গড়েছেন। নিজপ্রতিষ্ঠানের তৈরি রকেটে মহাকাশ ঘুরতে যাওয়ার সময় সঙ্গে নিয়েছেন আরও তিনজনকে। তবে এই অভিযানের পথটা মোটেও মসৃণ ছিল না বেজোসের জন্য। তার মহাকাশ ভ্রমণের শখের কথা শুনে একসময় মানুষ হেসেছিলও। তবে সব সমালোচকের মুখে ছাই দিয়ে তিনি ঠিকই পূরণ করেছেন আজীবনের লালিত স্বপ্ন।সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেফ বেজোসের প্রায় দুই দশকের পুরোনো একটি সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে। ওই সাক্ষাৎকারে টিভি সাংবাদিক চার্লি রোজ বেজোসের কাছে জানতে চান, অ্যামাজনের সিইও না হলে তিনি কী হতেন?
জবাবে বেজোস বলেন, আমি যদি কিছু করতে পারতাম, তাহলে মহাকাশ গবেষণায় যেতাম। অবশ্য প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এই স্বপ্নপূরণ অত্যন্ত কঠিন উল্লেখ করে অ্যামাজন প্রধান বলেছিলেন, তিনি এ নিয়ে খুব বেশি আশা রাখেন না।বেজোস বলেন, আমি হয়তো একটি রকেটে উঠতাম, মহাকাশে যেতাম এবং কিছু বিষয় পরীক্ষা করতাম। এসময় তার কথা শুনে দর্শকদের মধ্য থেকে হাসির শব্দ শোনা যায়।তখন উপস্থাপক রোজ বলেন, আপনি এতে মনোনিবেশ করলে হয়তো একটি উপায় ঠিকই খুঁজে পাবেন। তবে আপনার (অ্যামাজনের) পরিচালনা পর্ষদ এবং অংশীদাররা হয়তো তাতে খুশি হবেন না।
কিন্তু বেজোস যে কতটা দূরদর্শী তার প্রমাণ রাখেন পরের কথাটিতে। তিনি বলেন, এটি সত্যিই কঠিন। তবে কে জানে, ২০ বছর পরে হয়তো প্রযুক্তির বিশাল পরিবর্তন আসবে, তখন হয়তো ওইসব বিষয় তুলনামূলক সহজ হয়ে যাবে।
দুই দশকের পুরোনো ভিডিওটি সম্প্রতি টুইটার ব্যবহারকারীদের মন কেড়েছে। হর্ষ গোয়েনকা নামে এক ভারতীয় ব্যবসায়ী ভিডিওটি শেয়ার করার পর মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সেটি ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ দেখেছেন, রিটুইট হয়েছে কয়েকশ’বার।
বেজোসের ওই ভিডিও প্রসঙ্গে একজন মন্তব্য করেছেন, মধ্যযুগীয় লোকেরা বরাবরই প্রতিভাবানদের নিয়ে শুরুতে হাসাহাসি করে… তারা এটাই করে আসছে। আরেকজন বেজোসের ভূয়সী প্রশংসা করে লিখেছেন, দারুণ ব্যক্তি, স্বপ্নপূরণ করে ছেড়েছেন।
গত ২০ জুলাই মহাকাশযান ‘নিউ শেফার্ড’-এ চড়ে মহাকাশ ভ্রমণ করেন জেফ বেজোস। সেদিন বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ১২ মিনিটে টেক্সাসের ভ্যান হর্নের কাছাকাছি একটি বেসরকারি উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে মহাকাশযানে করে যাত্রা শুরু করেন অ্যামাজন সিইও, তার ভাই মার্ক বেজোস, ৮২ বছর বয়সী ওয়ালি ফাঙ্ক এবং ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অলিভার ডিমেন। এর ঠিক ১১ মিনিট পরেই প্যারাসুটের সাহায্যে পশ্চিম টেক্সাসের মরুভূমিতে নেমে আসেন তারা।
বেজোসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের তৈরি মহাকাশযান নিউ শেফার্ড। বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ ভ্রমণের লক্ষ্যে বানানো হয়েছে এটি। এর ক্যাপসুলের জানালা এযাবৎকালে মহাকাশে পৌঁছানো সকল মহাকাশযানের জানালার চেয়ে বড়। ফলে অন্যদের চেয়ে আরও সহজে আরও মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পেরেছেন এর অভিযাত্রীরা।