তালায় কামরুলের বাড়ির ছাদ এক সবুজের উদ্যান

0

সেলিম হায়দার, তালা ( সাতক্ষীরা) ॥ সাতক্ষীরার তালা সদরের খাজরা গ্রামের মৃত মোমিন শেখের ছেলে কামরুল ইসলাম শখ করেই বাড়ির ছাদে শুরু করেছিলেন গাছ লাগানো। একটি, দুটি করে গাছ লাগাতে লাগাতে সেই ছাদ হয়ে গেছে এক উদ্যান। বর্তমানে সেখানে ৪ শতাধিক ফলদ ও ঔষধি গাছ রয়েছে-রয়েছে বিভিন্ন প্রকার সবজিও। এখন ছাদটি দেখলেই মনে হয় এক সবুজ উদ্যান এটি।
সরে জমিনে ও তথ্য নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালের শেষের দিকে কয়েকটি ফুলগাছ থেকে শুরু হয় তার বাগান করা। প্রথম দিকে গাঁদা ফুল, রজনী গন্ধাসহ এমন জাতীয় ফুল লাগাতে থাকেন। পরে ফুল গাছ থেকে একসময় শুরু করেন ফল গাছ লাগাতে। আম, জাম, লেবু, মাল্টা, কদবেল, ব্লাকবেরি, সৌদি খেজুরসহ নানা ধরনের দেশি-বিদেশি ফল গাছ রয়েছে তার ছাদে। ২০০বর্গ ফুট ছাদে এখন পর্যন্ত তার লাগানো বিভিন্ন গাছের ৪ শতাধিক চারা আছে।
এই বাগানে দর্শনার্থীদের নজর বিশেষ ভাবে নজর কাড়ে ভেজষ উদ্ভিদের গাছ। দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় অধিকাংশ ঔষধি গুণ সম্পন্ন গাছে ভরে তুলেছেন ছাদের একাংশ। এলোবেরা, কালমেঘা, তুলসি থেকে শুরু করে বহুজাতের গাছ রয়েছে। পাশে সারি দিয়ে লাগানো কয়েকটি আনারস গাছে হলুদ আনারসে পরিপূর্ণ। ছাদের উপরে বানে দেওয়া আঙ্গুরগুলো থোকায় থোকায় পেকে রয়েছে।
গাছের প্রতি ভালোবাসা ও ছাদবাগান সম্পর্কে তালা সদরে খাজরা গ্রামে মো. কামরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ছাদে ৪ শতাধিক ফল, ফুল এবং ভেজষ উদ্ভিদের গাছ রয়েছে। এখান থেকে যে পরিমাণ ফল বা সবজি পাই তাতে আমার পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশীদের দিয়ে থাকি। এখন পর্যন্ত আমার বাগানের কোনো ফল বা ফুল বিক্রি করিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, তালা উপজেলায় অনেকগুলো ছাদ বাগান হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সবুজ বনায়নের জন্য মানুষদের ছাদ বাগান করতে আগ্রহী করে তুলতে। এর জন্য তাদেরকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।