যশোর পৌরসভা যৌথ সভায় আবর্জনা অপসারণে রাজি হল পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে যশোর পৌর এলাকার ময়না আবর্জনা পরিষ্কার ও অপসারণ করতে রাজি হয়েছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। গতকাল রোববার যশোর পৌরসভা কার্যালয়ে পৌর পরিষদের সাথে পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের দীর্ঘ বৈঠক শেষে বিষয়টির সুরাহা হয়। বৈঠকে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বেশ উত্তেজনা দেখা যায়। তার এনজিওদের অধীনে কাজ করবেন না এমন দাবি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে তারা মেয়রের আশ্বাসে কাজ করতে রাজি হন। তবে আপাতত পূর্বের নিয়মে কাজ করবেন তারা। এক পর্যায়ে তারা মেয়রের আশ্বাসে কাজ করতে রাজি হন। তবে আপাতত পূর্বের নিয়মে কাজ করবেন তারা। এনজিও নিয়োগ হলে তাদেরকে এনজিওদের অধীনে কাজ করতে হবে। মূলত এই বিষয়টি নিয়ে বিগত পৌর মেয়রের আমল থেকে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। শ্রমিকদের দাবি তারা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে কোনভাবেই এনজিওদের যুক্ত হতে দিতে চান না। তারা বলছেন, বাপ-দাদার পৈত্রিক এই পেশাই তাদের রুটি-রুজির একমাত্র অবলম্বন। এদিকে, পৌরসভা ও এনজিও কর্মী নিয়োগ করে এই কাজটি তাদের মাধ্যমে করাতে চায়। পৌরসভার দাবি এই কাজ তাদের দিয়ে করালে পৌরসভা বার্ষিক ১ কোটি ২০ লাখ টাকা পাবে। এই খাতে ব্যয় ও অনেক কম হবে। তারা বলছেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাজ করবে। তবে আমাদের অধীনে নয় এনজিওদের অধীন হয়ে। এখানেই শ্রমিকরা বাধ সাধেন। এ নিয়ে গত কয়েক দিন শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছেন। যে কারণে শহর নোংরা আবর্জনা ভরে গেছে। গতকাল পৌর মেয়র হায়দান গণি খাঁন পলাশের আশ্বাসে তারা পুনরায় কাজ করতে রাজি হন। মেয়র তাদের করোনার টিকার ব্যবস্থার পাশাপাশি, স্বাস্থ্য বিধি মেনে কার্যক্রম চালানোর ব্যবস্থা ও সুরক্ষা ও মৃত্যু ঝুঁকি ভাতা প্রদানের আশ্বাস দেন। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি মেনে নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। এনজিও নিয়োগ হলে তাদের দায়ভার ও মেয়র নেবেন বলে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন। সভায় মেয়র হায়দার গণি খান পলাশের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মোকসিমুল বারী অপু, সচিব আজমল হোসেন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শেখ রোকেয়া পারভীন ডলি, নাসিমা আক্তার জলি, আইরিন পারভীন, কাউন্সিলর রাজিবুল আলম, পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মতি লাল, সাধারণ সম্পাদক কমল বিশ্বাস, সহসভাপতি মন্টু হরিজন প্রমুখ।