করোনা ক্ষমতাসীনদের জন্য আশীর্বাদ: ফখরুল

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনাভাইরাস ক্ষমতাসীনদের জন্য আশীর্বাদ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জনপ্রতি আড়াই হাজার টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্নীতি আর হতদরিদ্রের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী চুরির কাহিনি এসব দেখে মনে হয় করোনা সরকারদলীয় লোকজনের জন্য যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক অবস্থানপত্রে ধরা পড়েছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রদেয় ৫০ লাখের তালিকায় ১৪ লাখ ৩৩ হাজার লোকের নামই ভুয়া উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের পত্রিকায় একটা খবর আছে যে, ঝিনাইদহে দুজন কোটিপতিকে আপনার এই ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। একজনের নাম খোকন সরকার আরেক নাম হচ্ছে রাজু দাস। তারা কোটিপতি। একজনের জুয়েলারি আছে, আরেকজনের কোম্পানি আছে।
মেগা প্রজেক্টের মেগা দুর্নীতি বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, মেগা প্রজেক্টে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন পর্যায়ে চরম অস্বচ্ছতা, অদক্ষতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয় ও মহা দুর্নীতির মহারেকর্ড তৈরি হচ্ছে। এই ব্যাপারে ইতোপূর্বে অনেকবার বলা হয়েছে। ওসব প্রকল্পের অর্থ বর্তমানে মানুষের জীবন বাঁচানোর উদ্দেশ্যে বরাদ্দ দিতে পারে সরকার। কিন্তু তা তারা করছে না।
টিকা প্রদানকে গুরুত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সারা পৃথিবীতে আজকে প্রমাণিত হয়েছে- যেসব দেশ ৭০/৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে তারাই কিন্তু করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। এর কোনো বিকল্প নাই।
জাতীয় করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক স্থায়ী কমিটি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুক বলেন, গত বছর দুই কোটি মানুষের কাছে আমরা সাহায্য পৌঁছিয়ে দিতে পেরেছিলাম। এবার এই দ্বিতীয় টেউয়ের আমরা আগের মতোই ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার প্রতিটি জেলায় আমাদের দলের অফিসে হেলথ সেন্টার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে অক্সিজেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ-স্বাস্থ্য সামগ্রী থাকবে। অলিরেডি এই কাজ বেশ কয়েকটি জেলায় শুরু হয়ে গেছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি জেলার অফিসে এই হেলথ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ বক্তব্য রাখেন।