বিশ্ব মা দিবস আজ

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ আজ রোববার মা দিবস। আধুনিক বিশ্বে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারটিকে ‘মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে, যার সূত্রপাত ১৯০৮ সালের ৮ মে। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে সবাই পালন করে মা দিবস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ভরে ওঠে মায়ের সঙ্গে সন্তানদের ছবিতে, নানা লেখায়। বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন অনেক বেশি মানুষ নিজের মাকে ফোন করেন, তার জন্য ফুল কেনেন, উপহার দেন।
মা দিবস উপলক্ষে আলাদা বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মাকে নিয়ে লেখা হয়েছে শত সহস্র কবিতা, গান। সেই গানে ব্যক্তি মা যেমন রয়েছে তেমনি দেশকে মা সম্বোধন করেও লেখা হয়েছে গান, কবিতা। বাংলা সাহিত্যে মাকে নিয়ে লেখা বিখ্যাত কয়েকটি কবিতা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মনে পড়া’, শামসুর রাহমানের ‘কখনো আমার মাকে’, হুমায়ুন আজাদের ‘আমাদের মা’, আল মাহমুদের ‘নোলক’, কালিদাস এর ‘মাতৃভক্তি’ উল্লেখযোগ্য।
বর্তমানে প্রচলিত মা দিবসের সূচনা হয় ১৯০৮ সালে। গত শতাব্দীর শুরু দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভাবলেন। তার সে ভাবনা বাস্তবায়নের আগে ১৯০৫ সালের ৯ মে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মায়েদের জন্য উৎসর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়।
বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্তর্জাতিক মা দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মায়ের প্রতি আমি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি তাদের অব্যাহত সুখ ও সৃমৃদ্ধি কামনা করি। ‘মা’ বিস্ময়কর ও আলোকদীপ্ত একটি শব্দ। জন্মের পর থেকে এই শব্দটি সব থেকে বেশি উচ্চারিত হয়।
তিনি বলেন, যিনি ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় নারী সমাজের অগ্রগতির জন্য অবদান রেখেছিলেন তা প্রশংসিত হয়েছে দেশ-বিদেশে, সেই ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসার বিচারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। কেড়ে নেয়া হয়েছে মানুষ হিসেবে তাঁর উন্নত চিকিৎসা করার অধিকার। অথচ আর্থিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে এদেশে দেশনেত্রীর অবদান কিংবদন্তিতুল্য। এই মহিমান্বিত দিবসে আমি তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। মা দিবসে আমি দেশের সকল নাগরিককে আহবান জানাবো-তারা যেন মায়েদের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান ও কর্তব্য পালন করেন, কারণ কেবলমাত্র সন্তানদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার একমাত্র শর্ত হচ্ছে মায়ের মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন থাকা।