পায়ে শিকল পরানো গৃহবধূকে পাঠানো হলো বাপের বাড়ি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মণিরামপুরের ঢাকুরিয়ার চাপাকোনা গ্রামের গৃহবধূ সাবিনা খাতুন (৩০)। স্বামী বিল্লাল হোসেন নেশাখোর বদমেজাজি। নেশা করে বাড়ি ফিরে নির্যাতন করেন স্ত্রী সাবিনাকে। পায়ে শিকল পরিয়ে রাখেন তালাবন্দি করে। আবার স্বাভাবিক হলে খুলে দেন। এভাবে থেমে থেমে চলে সাবিনার ওপর নির্যাতন। রোববার (২৩ মে) সকালে একইভাবে সাবিনা খাতুনের পায়ে শিকল পরান বিল্লাল হোসেন। কোনো প্রকারে ছাড়া পেয়ে দুপুরে পায়ে পরানো সেই শিকলসহ উপজেলা মহিলা বিষায়ক অফিসে হাজির হন গৃহবধূ। এরপর সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ দেবনাথ ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় তালা ভেঙে শিকলমুক্ত করেন সাবিনাকে। পরে তাকে ঝিকরগাছা এলাকায় বাবার বাড়িতে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেন এসিল্যান্ড। মণিরামপুর মহিলা বিষয়ক অফিসের ক্রেডিট সুপারভাইজার শহিদুল ইসলাম বলেন, পায়ের শিকল ও তালাসহ অফিসে এসে দুই সন্তানের জননী সাবিনা খাতুন জানান, তার স্বামী নেশা করে বাড়ি ফেরার পর সাবিনা প্রতিবাদ করলে তাকে নির্যাতন করে শিকলবন্দি করে রাখেন। প্রায়ই এভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়। তিনি বলেন, ‘সাবিনাকে এসিল্যান্ডের অফিসে নেওয়ার পর আমি সরেজমিন চাপাকোনা গ্রামে ওই নারীর স্বামীর বাড়িতে গেছি। কিন্তু সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। আশপাশের লোকজন যা বলেছেন, তার সাথে অভিযোগের মিল রয়েছে।’ মণিরামপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তার বলেন, ‘আমার অফিসে আসার পর সাবিনাকে এসিল্যান্ডের অফিসে নেওয়া হয়। সব শুনে এসিল্যান্ড ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। তারা এসে শিকল কেটে তাকে মুক্ত করেন। সাবিনাকে মামলা করতে বললেও তিনি রাজি হননি ‘ সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ দেবনাথ বলেন, ওই নারীর পায়ের শিকল কেটে তাকে ঝিকরগাছায় তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি চাইলে আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে।