যশোর পৌরসভার ১০০ জনঅস্থায়ী কর্মচারী ছাঁটাই

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর পৌরসভার ১০০ জন অস্থায়ী কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। পৌরসভার দেনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে জনবল হ্রাস কর্মসূচির আওতায় তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র মতে, নবনির্বাচিত মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ এপ্রিল মাসে বিপুল অংকের দায়দেনা নিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এ দায়ের পরিমাণ ৯০ কোটি টাকার বেশি। পৌরসভায় বর্তমানে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে যে জনবল রয়েছে তাদের মাসিক বেতন-ভাতা কোটি টাকার মতো। বিপুল পরিমাণ এই বেতন ভাতা পৌরসভার আয় অনুযায়ী বহন করা কষ্টসাধ্য বলে দায়িত্ব গ্রহণের সময় মেয়র জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, পৌরসভার বিশাল অংকের দায় তিনি তার আমলে মিটিয়ে যাবেন। এর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ব্যয় সংকোচন নীতি অবলম্বন কেরন। সে সময় তিনি ইঙ্গিত দিয়েছলেন অস্থায়ী ও মাস্টার রোলের কর্মচারি কমিয়ে ফেলবেন। সে অনুসারে গত মাসে মাস্টার রোলে কর্মরত ৪২ জন কর্মচারিকে ছাাঁই করেন। এদের বেতন সাড়ে চার হাজার থেকে ৬ হাজার পর্যন্ত।
অন্য একটি সূত্র মতে, সাবেক মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, দায়িত্ব হস্তান্তরের মাসখানেক আগে মাস্টার রোলে ৪৫ জন কর্মচারি নিয়োগ দিয়ে যান। নতুন মেয়র এসে তাদের মধ্য থেকে ৪২ জনকে চাকরিচ্যুত করেছেন।
সূত্র মতে, সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম দায়িত্ব ছাড়ার পর পরই তার নিয়োগ দেয়া ৪০-৪৫ জন কর্মীকেও চাকরিচ্যুত করেছিলেন। সে সময়কার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার। এদিকে, বর্তমান মেয়র হায়দার গনি খান মাস্টার রোলের ৪২ জন ছাড়াও ৫৮ জন ঝাড়–দার পদের কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন। এসব ঝাড়–দার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত শহরের রাস্তাঘাট পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করতেন। দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করা এসব ঝাড়ুদারের কারণে শহরে দিনের বেলায় রাস্তায় ময়লার স্তুপ হতো না। মাস্টার রোলের ৪২ জন ও ঝাড়–দার শ্রেণির ৫৮ জনকে ছাঁটাই করায় যশোর পৌরসভার মাসিক বেতন-ভাতা খাতে ৪ লক্ষাধিক টাকা সাশ্রয় হবে বলে পৌরসচিব মো. আজমল হোসেন জানান। এ বিষয়ে মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ জানান, ওই দুই পদের অস্থায়ী জনবল কমানো হয়েছে। পৌরসভার বিধান অনুযায়ী যে কোনো সময় প্রয়োজনীয় জনবল অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ করা যায়। সুতরাং আগামীতে শহরকে সুন্দর ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্যে আবারো এ জাতীয় জনবল বৃদ্ধি করা হবে।