ইইউতে সয়াবিনের উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) সয়াবিন আবাদের পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে। এ অর্থনৈতিক ব্লকটি ২০২০-২১ বিপণন বছরে সৃষ্ট খরাজনিত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। এতে বাড়ছে সয়াবিন আবাদকৃত জমির সংখ্যা। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও। খরাজনিত সমস্যা কাটতে শুরু করায় এ অঞ্চলে কমছে আমদানির চাহিদাও। এ বিপণন বছরে খাদ্যপণ্যটির আমদানির চাহিদা ছিল স্থিতিশীল। গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (গেইন) এমনটি জানিয়েছে। মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আছে। খবর ওয়ার্ল্ড গ্রেইন ডটকম।
ইউএসডিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সয়াবিন আবাদকৃত জমির সংখ্যা ৩ শতাংশ বেড়ে ১০ লাখ ৪০ হাজার হেক্টরে পৌঁছবে। পরের বছর দ্বিতীয়বারের মতো সয়াবিন আবাদকৃত জমির পরিমাণ ১০ লাখ ছাড়াবে বলেও পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
সয়াবিন আবাদের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, গমের মূল্যবৃদ্ধি ও বংশানুগতভাবে পরিবর্তিত নয়, এমন সয়াবিনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ খাদ্যপণ্যের আবাদকৃত জমির পরিমাণ বাড়ছে।
ইউএসডিএ বলছে, চলতি বছরের শেষ দিকে সয়াবিন সংগ্রহের কাজ শেষ হতে পারে। এর পরই উৎপাদনের পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে। ২০২১-২২ বিপণন বছরে সয়াবিন উৎপাদনের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৯ লাখ ১০ হাজার টনে পৌঁছবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে সয়াবিন আমদানি আগের বছরের তুলনায় ১ কোটি ৪৪ লাখ টনে স্থিতিশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টনের নিচে।
২০২০-২১ বিপণন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সয়াবিন উৎপাদন খরাজনিত কারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এ সময়ে উৎপাদন কমে ২৬ লাখ ৫০ হাজার টনে পৌঁছে, যা এর আগের বছর ছিল ২৭ লাখ টন।